আইন-আদালত

চাঁদপুরের তৎকালীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে হাইকোর্টে তলব

ঢাকা, ০৯ নভেম্বর – চাঁদপুরের সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বর্তমানে বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২২ নভেম্বর সকালে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

চাঁদপুরের মতলব থানায় এক হত্যা মামলায় ১৬ বছর বয়সী আসামিকে নির্যাতনের কথা জেনেও পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার ঘটনায় সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দেওয়ায় তাকে তলব করা হয়েছে। বিচারপতি আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীব সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

কিশোর আসামির আইনজীবী ব্যারিস্টার রিমি নাহরিন জানান, গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ১৬ বছর বয়সী আসামিকে নির্যাতনের কথা জেনেও পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করায় বিচারক মো. নূরে আলমের কাছে ব্যাখ্যা চান। আদালতের আদেশে বিচারক ব্যাখ্যা দাখিল করেন। মঙ্গলবার কিশোর আসামি ফরহাদের জামিনে মেয়াদ বৃদ্ধির শুনানিতে বিচারকের ব্যাখ্যা হাইকোর্টের নজরে আসে। তার ব্যাখ্যা আদালতের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়নি। এ কারণে তাকে তলব করেছেন। আদালতে কিশোর আসামির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রিমি নাহরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দামি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে তার বন্ধু ও স্বজনরা হত্যা করে। ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করেন তার ভাই, কিন্তু কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ ঘটনায় ফরহাদ, মেহেদী ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রত্যেকেই স্বীকার করেন, তারা মোবাইলের জন্য সোহেলকে খুন করে।

এ মামলায় মূল আসামি ফরহাদ হাইকোর্টে জামিন নিতে যায়। জামিন শুনানির সময় সেখানেই দেখা যায় ফরহাদের বয়স ১৬ বছর। কিন্তু চার্জশিটে দেওয়া হয়েছে ১৯ বছর যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। পুলিশি নির্যাতনের পরও জবানবন্দি রেকর্ড করায় ওই বিচারককে শোকজ করা হয়।

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/০৯ নভেম্বর ২০২১

Back to top button