শীতকালে রাত ২টার পর বিমান উড়বে না: বেবিচক
ঢাকা, ০৭ নভেম্বর – প্রতিবছরের মতো এবারও শীতে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। ঘন কুয়াশার কথা মাথায় রেখে রাত ২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশি-বিদেশি সব ধরনের ফ্লাইট চলাচলে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এ ছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে রাতের ফ্লাইটগুলো দিনের সূচিতে আনতে এয়ারলাইন্সগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্র্তৃপক্ষ।
বৈরী আবহাওয়া বা ঘন কুয়াশায় ফ্লাইট ওঠানামার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ব্যবহার করা হয় ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস)। দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়া কোনোটিতেই নেই এ প্রযুক্তি। হযরত শাহজালাল, সিলেটের ওসমানি ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে আইএলএস প্রযুক্তি আছে, তাও পুরনো। এ কারণে পাইলটের দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটারের নিচে নেমে এলে ফ্লাইট উড্ডয়ন বা অবতরণ বাধাগ্রস্ত হয়। আইএলএস পদ্ধতিতে পাইলটের কাছে এক ধরনের বেতার তরঙ্গ পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে সহজেই রানওয়ের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেন পাইলট।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে আইএলএস প্রযুক্তি আছে, তার দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটার। কিন্তু শীতকালে ঘন কুয়াশায় প্রায়ই রানওয়ের দৃষ্টিসীমা নেমে আসে ৫০ মিটারের নিচে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কারণে কোনো ফ্লাইট উঠানামার অনুমতি দেওয়া হয় না। বিশেষ পরিস্থিতিতে ফ্লাইট পাঠানো হয় বিকল্প বিমানবন্দরে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে এয়ারলাইন্স। এ কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে আইএলএস প্রযুক্তির মানোন্নয়নের দাবি জানিয়ে আসছে এয়ারলাইন্সগুলো।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বলেন, ‘ঘন কুয়াশাকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসেবে ধরা হয়। এটা রোধ করা সম্ভব না হওয়ায় আমরা আমাদের ফ্লাইট অ্যাডজাস্টমেন্ট করি আগে থেকে, যেটিকে শীতকালীন সূচি বলা হয়। এবারও এটা করা হয়েছে যাতে ফ্লাইট বিপর্যয়ের সম্ভাবনা কমে যায়। মূলত মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা বেশি পড়ে, রাত ২টা থেকে সকাল ৮টা-৯টা পর্যন্ত। এ সময়ে ফ্লাইট যাদের থাকে, তারা সাধারণত এগুলো দিনে নিয়ে আসেন। এই অ্যাডজাস্টমেন্টটাই আমরা করে থাকি, যা এ বছরও করা হয়েছে। এরই মধ্যে এয়ারলাইন্সগুলোর সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে, তারা যেন ফ্লাইটের পরিস্থিতি নিয়মিতভাবে যাত্রীদের জানায়। যদি কোনো কারণে ফ্লাইট দেরিও হয়, তাহলে যাত্রীদের যেন তারা অবহিত করে। ১২ ঘণ্টার বেশি হলে যেন হোটেলে নেয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে।’
সূত্র : আমাদের সময়
এন এইচ, ০৭ নভেম্বর