সিলেট

সিলেটীদের আন্তর্জালিক মিলন মেলা ৬ষ্ঠ বিশ্ব সিলেট সম্মেলন শুরু

প্রণবকান্তি দেব

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সিলেটীদের আন্তর্জালিক মিলন মেলা বিশ্ব সিলেট সম্মেলন এর ৬ষ্ঠ আসরের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন হয়েছে। আজ ৬ নভেম্বর শনিবার নিউইয়র্ক সময় সকাল ১০টায় এবং বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৮ টায় ভার্চ্যুয়ালি এ সম্মেলন এর উদ্বোধন হয়। বৃহত্তর সিলেটের নানাবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা,উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ, সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়, ইতিহাস- ঐতিহ্যেকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাসহ প্রবাসীদের সিলেটের বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের এ সম্মেলন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ব সিলেট ২০২১ সম্মেলনের আহবায়ক ডঃ আহমেদ মুশতাকুর রাজা চৌধুরী। সম্মেলনের থিম সং পরিবেশন করেন যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী হিমাংশু গোস্বামী। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- বিশ্ব সিলেট সম্মেলন কমিটির সভাপতি সি এম তোফায়েল সামী, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকার সভাপতি ডঃ আব্দুল মবিন, নিউইয়র্কের বিশিষ্ট সমাজসেবী রাহাত নাসরীন ও সৈয়দ জাকী হোসাইন, লিয়াকত হোসাইন এবং যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট সমাজসেবী ইকবাল হোসাইন ওবিই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ব সিলেট সম্মেলন ২০২১ এর মহাসচিব ডাঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশ্ব সিলেট সম্মেলন কোন প্রতিষ্ঠান নয়. এটি একটি আন্দোলন।তারা বলেন, সারা বিশ্বে সিলেটের ঐতিহ্যকে বুকের মধ্যে ধারণ করার আন্দোলন।বক্তারা আরো বলেন, অনাবাসী সিলেটিরা, যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজেদের অথবা তাদের পূর্বপুরুষের জন্মমাটির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগরূক রেখেছেন, তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় বিনির্মাণ ও বিনিময়ের লক্ষ্যে একত্রিত পরিসরে একটি মিলন মেলা।আর পিছিয়ে পড়া মানুষ ও সমাজকে উন্নয়ন করার জন্য ছড়িয়ে থাকা এই অঞ্চলের মানুষ বা তাদের সংগঠন ও কার্যক্রমের সংযোগ ও সমন্বয় করার একটি উদ্যোগ হচ্ছে এ সম্মেলন।

তারা বলেন, সিলেটে উন্নতির জন্য সিলেট অঞ্চলের সকল জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ( শিক্ষা, পরিবেশ, স্বাস্থ্য পর্যটন, বাণিজ্য, সমাজিক, সাংস্কৃতিক, নারীদের ক্ষমতায়ন ও মানবিক মূল্যবোধ ) এমন কি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বেশ কিছু বাধা বিপত্তির কথা আমরা জানতে পেরেছি। সরকারের যে সব জায়গায় ঘাটতি হতে পারে সেই সব জায়গায় আমরা জেলা ভিত্তিক সেই সবের উন্নতির জন্য একটি কার্যক্রম শুরু করতে চাই। এটি সরকারি, বেসরকারি বা অন্য যে কোনো সংস্থার মাধ্যমে অথবা যৌথভাবে করা যেতে পারে।তারা বলেন, আমাদের বিশ্বাস, এ আয়োজন একটি সফল মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে যে যার অঞ্চল কে উন্নতি করার জন্য সম্পৃর্ক্ত করতে অনুপ্রেরণা পেতে পারেন এবং তাতে সমস্ত বাংলাদেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর স্বাধীনতার সূর্বণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান: “মুক্তিযুদ্ধে সিলেট” অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল ( অব) ইমামুজ্জামান (বীর বিক্রম), মুক্তিযুদ্ধ গবেষক তাজুল মুহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার (অব) জয়ন্ত কুমার সেন ও ডাঃ অরূপ রতন চৌধুরী। এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন কর্নেল (অব) আব্দুস সালাম (বীর প্রতীক)।

আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় সিলিটের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক প্রযোজনা। এ পর্ব সমন্বয় করেন সিলেটের সাংস্কৃতিক সংগঠক বিভাষ শ্যাম পুরকায়স্থ যাদন , আমিনুল ইসলাম লিটন, অধ্যক্ষ শামীমা চৌধুরী, নীলাঞ্জনা জুঁই , মিশফাক আহমেদ মিশু এবং রজত কান্তি গুপ্ত।

Back to top button