টলিউড

লাইভে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শ্রীলেখা (ভিডিও)

কলকাতা, ০৬ নভেম্বর – টলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। এ অভিনেত্রী কলকাতার যে কমপ্লেক্সে থাকেন সেখানকার পড়শিদের সঙ্গে মনমালিন‌্য নতুন নয়! তা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এবার সেই পড়শিদের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া বেধেছে এই অভিনেত্রীর। অবাক করা বিষয় হলো—আর এটির সূত্রপাত রাস্তার কুকুর নিয়ে। শ্রীলেখার সঙ্গে যখন পড়শিদের কথা কাটাকাটি উত্তপ্ত পর্যায়ে তখন ফেসবুক লাইভে আসেন এই অভিনেত্রী।

তাতে দেখা যায়, শ্রীলেখার সঙ্গে কমপক্ষে ৮-১০ জন তর্ক করছেন। এ অভিনেত্রী এক কথা বললে অপর পক্ষ থেকে ৩-৪ জন একসঙ্গে কথা বলতে থাকেন। উত্তপ্ত বাক‌্য বিনিময় দীর্ঘ সময় ধরে চলে। কিন্তু দুই পক্ষকে শান্ত করার কেউ নেই। এমনকি সিকিউরিটি গার্ডও নীরব! এর কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয়বার লাইভে আসেন শ্রীলেখা। এ সময় কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই অভিনেত্রী।

মূল বিষয় হলো—রাস্তার যেসব কুকুরের খাবারের ব‌্যবস্থা করে থাকেন শ্রীলেখা, সেসব কুকুর কমপ্লেক্স এরিয়ায় আসাকে কেন্দ্র করে। পড়শিরা বিষয়টি মেনে নেবেন না। শ্রীলেখার অভিযোগ—তারা এসব কুকুরকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলবে। এ খবর শ্রীলেখা জানার পর পড়শিদের জিজ্ঞাসা করেন। তারপরই ঘটে এই ঘটনা।

এই কমপ্লেক্সে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে শ্রীলেখা বলেন, ‘আমি কিছু দিন আগে বাবাকে হারিয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে মানসিকভাবে ভালো নেই। মুখের উপর অপ্রিয় সত‌্যটা বলে দিই। এ নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির অনেককে চটিয়েছি। আসলে আমার একার পক্ষে এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমি আমার রক্ত পানি করা টাকা দিয়ে এই ফ্ল‌্যাটটি কিনেছি। কিন্তু এখানে আর থাকব না। এই কমপ্লেক্স ছেড়ে দেব।’

গত বছর করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে ভারত দীর্ঘ দিন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে বিত্তবানদের খুব একটা অসুবিধা না হলেও থমকে ছিল দৈনিক মজুরিতে কাজ করা নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন। সেই সঙ্গে রাস্তায় থাকা কুকুরগুলো অনাহারে ঘুরছিল। আর এ বিষয় সহজভাবে নিতে পারেননি শ্রীলেখা।

এরপর নিজ উদ্যোগে রাস্তার কুকুরদের খাবারের ব্যবস্থা করেন শ্রীলেখা। কিন্তু শ্রীলেখার এসব কর্মকাণ্ড ভালোভাবে নেননি তার কমপ্লেক্সের পড়শিরা। শুধু তাই নয়, শ্রীলেখার প্রতিবেশীরা থানায় গিয়ে অভিযোগও করেন।

এ বিষয়ে শ্রীলেখা বলেছিলেন—‘আমি একটি কমপ্লেক্সে থাকি। গত সেপ্টেম্বরে এই কমপ্লেক্সে উঠেছি। এটাকে বড়লোকদের বস্তি বলব। তারা মনে করে, কমপ্লেক্স মানে সেখানে বাইরের কোনো কুকুর আসতে পারবে না। আসার পর থেকে পড়শিদের সঙ্গে এসব নিয়ে লেগেই আছে। আমার সঙ্গে কেউ কথা বলে না। আমাকে অশান্তিতে রাখার নানা পরিকল্পনা করছে তারা।’

এন এইচ, ০৬ নভেম্বর

Back to top button