সেমির দৌঁড়ে টিকে থাকলো নিউজিল্যান্ড
আবুধাবি, ০৬ নভেম্বর – নামিবিয়াকে ৫২ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে থাকলো নিউ জিল্যান্ড। শেষ ম্যাচে তারা আফগানিস্তানকে হারাতে পারলে ভারতকে পেছনে ফেলে শেষ চারে নাম লেখাবে।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকেলে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউ জিল্যান্ড আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১১ রানের বেশি করতে পারেনি নামিবিয়া। ৫২ রানের জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।
১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল নামিবিয়ার। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তারা পিছিয়ে পড়ে প্রয়োজনীয় রান রেট থেকে।
উদ্বোধনী জুটিতে ৪৭ রান তোলেন স্টিফান বার্ড মাইকেল ফন লিনজেন। এই রানে মিচেল স্যান্টনারের বলে আউট হন বোর্ড। ২২ বলে ২ চারে ২১ রান করেন তিনি। অধিনায়ক গার্হার্ড এরাসমাসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩ রানে ইশ সোধির বলে আউট হন তিনি। ৫৫ মাথায় ফিরেন লিনজেন। ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রান করা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেন জিমি নিশাম।
নামিবিয়ার তারকা ডেভিড ভিসে সতীর্থ জনি গ্রিনকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের দুজনকে ফিরিয়ে জয় হাতের নাগালে নিয়ে আসেন টিম সাউদি। ৮৬ রানের মাথায় ভিসে আউট হন ১৬ রান করে। আর ১০২ রানের মাথায় গ্রিন আউট হন ২৩ রান করে।
এরপর ১০৩ রানের মাথায় জন নিকোল লোফ্টি ইটোন ও ১০৫ রানে ক্রেইগ উইলিয়ামস আউট হন। তাদের দুজনকেই ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১১১ রানের বেশি করতে পারেনি নামিবিয়া। তাতে ৫২ রানের জয় পায় নিউ জিল্যান্ড। সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যায়।
অপরাজিত ৩৫ ও ৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন জিমি নিশাম।
তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মার্টিন গাপটিল ও দ্রিল মিশেল ৩০ রান তোলেন। এরপর ডেভিড ভিসের বলে ট্রাম্পেলমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গাপটিল। ১৮ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ১৮ রান করে যান তিনি। ৪৩ রানের মাথায় আউট হন দ্রিলও। তিনি ১৫ বলে ২ চারে ১৯ রান করে যান। তাকে ফেরান বার্নার্ড স্কোলজ।
এরপর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৮১ রানের মাথায় উইলিয়ামসনকে সরাসরি বোল্ড করেন এরাসমাস। কিউই অধিনায়ক ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করেন। ৮৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৭ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন কনওয়ে।
এরপর গ্লেন ফিলিপস ও জিমি নিসাম অবিচ্ছিন্ন থেকে মাঠ ছাড়েন। পঞ্চম উইকেটে তারা দুজন ৭৬ রান তোলেন। ফিলিপস ২৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। আর নিশাম ২৩ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
তাতে ১৬৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় ব্লাক ক্যাপসরা।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ০৬ নভেম্বর