এশিয়া

এশিয়ার দেশগুলোতে হাজার কোটি ডলার সাহায্য়ের অঙ্গীকার জাপানের

মফিজুল সাদিক

গ্লাসগো, ০৪ নভেম্বর – মহামারি, জীববৈচিত্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবচেয়ে কার্যকর উপায় প্রাকৃতিক সমাধান। এ জন্য জলবায়ু ও প্রকৃতিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ব নেতারা। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গরিব দেশগুলোর পাশাপাশি ধনী দেশগুলোও প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার।

তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পৃথিবী নামক গ্রহকে রক্ষার অঙ্গীকার করেছে উন্নত দেশগুলো। এ জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখাচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও উন্নয়ন সহযোগীরা।

যেমনটি বলছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। তিনি কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনতে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এক হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত সাহায্যের অঙ্গীকার করেছেন।

বুধবার (৩ নভেম্বর) স্কটল্যান্ডের স্কটিশ ইভেন্ট সেন্টারের গ্রিনজেনে জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের এক বক্তব্যে এ অঙ্গীকার করেন তিনি।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এশিয়ার দেশগুলোকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের নিট পরিমাণ শূন্যে আনতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এজন্য সবসময় পাশে থাকবে জাপান। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তর করতে ১০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প জাপান খুব শিগগির চালু করবে।

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জাপান গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের মাত্রা ঠিক করে নিয়েছে বলেও জানান কিশিদা।

তিনি বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে জাপান কার্বন ভারসাম্য অর্জনের লক্ষ্য ধরে নিয়েছে। সেই লক্ষ্য অর্জনে ২০৩০ সালে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ২০১৩ অর্থবছরের মাত্রার ৪৬ শতাংশ হ্রাসের পরিকল্পনা করেছে তার দেশ। সম্ভব হলে এসময়ের মধ্যে ৫০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের চেষ্টা করা হবে।

সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/০৪ নভেম্বর ২০২১

Back to top button