জাতীয়

অবশেষে রেলওয়ের জমিতে মডেল মসজিদ নির্মাণে বাধা কাটলো

এমরান হোসাইন শেখ

ঢাকা, ০৩ নভেম্বর – রেলওয়ের জমিতে মডেল মসজিদ নির্মাণের বাঁধা কাটলো। এখন থেকে মডেল মসজিদ নির্মাণে চাইলে রেলওয়ের জায়গা ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে (কর্মচারী) কল্যাণ ট্রাস্ট লিজে পাওয়া রেলওয়ের ভূমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে পাবরে। এমন দুটি উপধারা বিধান যুক্ত করে সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয় ‘রেলওয়ে কোড ফর দ্যা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট ১৯৬২‘ এর সংশোধনী এনেছে।

মডেল মসজিদ নির্মাণের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে ‘রেলওয়ে কোড ফর দ্যা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট ১৯৬২‘-এ যুক্ত হওয়া উপধারায় বলা হয়েছে- ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে রেলওয়ের মহাপরিচালকের সুপারিশের প্রেক্ষিতে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া যাবে। একইসঙ্গে প্রতিটি কেস যাচাই করে বাংলাদেশ রেলওয়ে (কর্মচারী) কল্যাণ ট্রাস্টকে রেলওয়ের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া যাবে।

দেশের প্রতি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর কয়েকটি স্থানীয় রেলওয়ের ভূমিতে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭/৮টি মডেল মসজিদ রেলওয়ের জমিতে নির্মাণের অনুমতি চেয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। এর মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার আগেই দুই/একটির নির্মাণ কাজও শুরু হয়। তবে, রেলওয়ের সম্পত্তি ব্যবহার সংক্রান্ত বিদ্যমান বিধানে সরকারের অন্য সংস্থাকে রেলের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়ার বিধান না থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। যার ফলে রেলওয়ের আপত্তির কারণে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় রেলওয়ের জমিতে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ স্থগিতও হয়ে যায়। এই সংশোধনীর ফলে এখন এ ধরনের বাধা কেটে যাবে বলে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জানা গেছে, রেলের জমিতে ৭/৮টি মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত চারটির মত মডেল মসজিদ হতে পারে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইনি ও ভূমি) ফারুকুজ্জামান বলেন, মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যমান ব্যবস্থায় সরকারের কোনও উন্নয়ন কাজে রেলওয়ের জমি ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার বিধান থাকলেও বহুতল ভবন নির্মাণের বিধান নেই। যার কারণে ভবিষ্যতে রেলওয়ের ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না এমন ক্ষেত্রে বহুতল বিশিষ্ট মডেল মসজিদ নির্মাণের সুযোগ দিতে এই ক্লজটি যুক্ত করা হয়েছে।

কল্যাণ ট্রাস্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কল্যাণ ট্রাস্টকে আগে থেকেই জমি লিজ দেই। তারা সেখানে টিনশেড বা অস্থায়ী কোনও স্থাপনা করতে পারতেন। কিন্তু অস্থায়ী স্থাপনা তাদের জন্য তো লাভজনক নয়। যার কারণে সেখানে তারা যাতে বহুতল ভবন করতে পারে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এটা ঢালাওভাবে দেওয়া হবে না। তাদের আবেদন যাচাই করে ওই জমি ভবিষ্যতে রেলের প্রয়োজন পড়বে কিনা সেটা দেখে অনুমোদন দেওয়া হবে।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
এন এইচ, ০৩ নভেম্বর

Back to top button