ক্রিকেট

নাসির-তাম্মির জামিনে পর যা বললেন রাকিব

ঢাকা, ০১ নভেম্বর – বিয়েবিচ্ছেদ না হওয়া সত্ত্বেও অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ক্রিকেটার নাসির হোসাইন, তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি ও শাশুড়ি সুমি আক্তার। রোববার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।

রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন তামিমার ‘সাবেক স্বামী’ রাকিব হাসান। অনেকটা আক্ষেপের স্বরে তিনি বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, আমাদের পক্ষ থেকে পার্ট টু পার্ট সবকিছু উপস্থাপন করা হয়েছিল। আদালত জামিন দিয়েছেন।’

‘তামিমার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তামিমা তালাক দিয়েছে। কিন্তু ডিভোর্স লেটার পৌঁছানোর দায়িত্ব তার নয়। তালাকের নোটিশ তামিমার পৌঁছানোর দায়িত্ব না থাকলে তাহলে এটা কে পৌঁছাবে? আমার বউ আমাকে তালাক দিয়েছে সেটা আমি কার মাধ‌্যমে জানব? নোটিশের মাধ‌্যমেই তো জানব তাই না! আমি কোনো তালাকের নোটিশ পাইনি, তামিমা আমার সঙ্গে সম্পর্ক কনটিনিউ করেছে।’ বলেন রাকিব।

এখন আইনি প্রক্রিয়ায় সবকিছু এগিয়ে নিতে চান রাকিব। তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জামিন পেলেই তো মামলা শেষ হয়ে যায় না, আইনি প্রক্রিয়ায় যা করতে হয় তার সবই করব। আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।’

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মামলার বাদী ও তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসানের আইনজীবী ইশরাত হাসান। শুনানি শেষে আদালত ক্রিকেটার নাসিরসহ তিনজনকে ৩১ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলায় আগের বিয়ে গোপন থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিয়ে, অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যাওয়ায় মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন তাম্মি ও রাকিব। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকার মারফত ঘটনার বিষয়ে জানতে পারেন তিনি। মামলায় আরও বলা হয়, তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার শিশু কন্যা মানসিক বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে।

সূত্র : রাইজিংবিডি
এন এইচ, ০১ নভেম্বর

Back to top button