ঢাকা

ঢাকার জনঘনত্ব কমাতে রাজউকের নতুন পরিকল্পনা

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর- ঢাকার জনঘনত্ব কমানোর জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) দিয়েছে। এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে ফ্ল্যাটের দাম ন্যূনতম ৫০ শতাংশ বাড়বে।

রাজউক ঢাকার জনঘনত্ব কমানোর জন্য এমন পরিকল্পনা করছে বলে জানান, সম্মেলনে আবাসন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন রিহ্যাব নেতারা।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাব নেতারা এসব কথা বলেন।

২০১৬-৩৫ সালের জন্য নতুন ড্যাপ প্রণয়ন করছে রাজউক। সেটির আলোকে ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০২১ হচ্ছে। সেই বিধিমালা চূড়ান্ত হলে ভবনের আয়তন বর্তমানের চেয়ে ন্যূনতম ৩৩-৫৩ শতাংশ কমবে। এতে ফ্ল্যাটের দাম বাড়বে।

রিহ্যাব নেতারা বলেন, জীবিকা, উপার্জন, চিকিৎসা, উন্নত শিক্ষা, বিচার ও সালিসের জন্য দেশের মানুষের কাছে ঢাকা একমাত্র কেন্দ্রস্থল। এই ব্যবস্থাগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যত্র তৈরি করা যাবে না, ততক্ষণ ঢাকা শহরের জনসংখ্যা কমানো বা ঢাকায় অভিবাসনে বাধা দেওয়া অলিক স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন।

আলমগীর শামসুল বলেন, বিধিমালা অনুযায়ী ২০০৮ সালের ঢাকা ইমারত নির্মাণ ২০ ফুট সড়কসংলগ্ন ৫ কাঠা জমিতে সর্বোচ্চ ৮ তলাবিশিষ্ট ভবনে মোট সাড়ে ১৩ হাজার বর্গফুট নির্মাণের অনুমতি পাওয়া যেত। আর প্রস্তাবিত বিধিমালা বাস্তবায়িত হলে সমপরিমাণ জায়গায় নির্মাণ করা যাবে সর্বোচ্চ ৫ তলাবিশিষ্ট মোট ৯ হাজার বর্গফুটের ভবন। তবে ২০ ফুটের চেয়ে কম প্রশস্তের সড়কের ক্ষেত্রে ভবনের উচ্চতা ৩-৪ তলার বেশি হবে না। তিনি বলেন, ভবনের আয়তন হ্রাস পেলে জমির মালিকেরা পরিকল্পিত বা চাহিদা অনুযায়ী ফ্ল্যাট কখনোই পাবেন না। ফ্ল্যাটের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে বাসাভাড়া সীমাহীনভাবে বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, ব্যাপকভাবে ভবনের আয়তন হ্রাস পেলে সিরামিক, স্যানিটারি, টাইলস, রড, সিমেন্ট, পাথর, বালি, রংসহ ২৬৯টি সহযোগী শিল্পও গভীর সংকটে পড়বে। তাতে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। রিহ্যাব সভাপতি আরও বলেন, রাজউকের এলাকায় মোট স্থাপনা রয়েছে ২১ লাখের বেশি। তার মধ্যে ৮৪ শতাংশ একতলাবিশিষ্ট স্থাপনা। ছয়তলার বেশি স্থাপনা মাত্র শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ। আটতলার বেশি স্থাপনা মাত্র শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ। ফলে ভবনের আয়তন বা উচ্চতা ঢাকা শহরের জনঘনত্ব কমানোর হাতিয়াররূপে ব্যবহার করার চেষ্টা কতটুকু বাস্তবসম্মত, সেটি প্রশ্নবিদ্ধ। প্রস্তাবিত ড্যাপ ও ইমরাত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে নগর–পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, পেশাজীবী ও খাতসংশ্লিষ্ট অংশীদারদের মতামতের ভিত্তিতে তা করার অনুরোধ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি কামাল মাহমুদ, নজরুল ইসলাম, শরীফ আলী খান, মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রমুখ।

সূত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল

আর আই

Back to top button