বলিউড

কেন পুনীত রাজকুমার এত জনপ্রিয়

হায়দ্রাবাদ, ৩১ অক্টোবর – একজন মানুষ এত জনপ্রিয় হয় কী করে? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অনেকেই। ভারতের দক্ষিণী নায়ক পুনীত রাজকুমার না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার পর ঘটে গেছে অনেক কিছুই। গতকাল বেঙ্গালুরুতে প্রয়াত এ অভিনেতা রাজকুমারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবারে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শোকে কাতর হয়ে যায় ভক্তরা। এমনকি অনেকে নায়কের শোকে নিজেকে বলিদান করে দিয়েছেন। পুনীতের মৃত্যুর পরে এক অনুরাগী আত্মঘাতী হন। অন্য দুজন প্রয়াত হয়েছেন হৃদরোগে।

জানা গিয়েছে, পুনীতের মৃত্যুশোক সহ্য করতে না পেরে মারুরু গ্রামের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। গ্রামবাসীদের কথায় জানা যায়, পুনীতের সমস্ত ছবি দেখেছেন ওই ব্যক্তি। টেলিভিশনে প্রিয় অভিনেতার অসুস্থতার খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। পুনীতের মৃত্যুর কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে নিজেও হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। একইভাবে শিনডোলি গ্রামের এক বাসিন্দারও মৃত্যু হয়। টেলিভিশনে পুনীতের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে কান্নাকাটি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাত ১১টা নাগাদ হৃদরোগে মৃত্যু হয় তারও।

তৃতীয় জন পুনীতের মৃত্যুর খবর পেতেই নিজের হাত কেটে বসেন। পরে গলায় দড়িও দেন বলে পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর। তার আগে বাড়িতে পুনীতের ছবি টাঙ্গিয়ে, তাতে ফুল দিয়ে প্রয়াত অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। তার পরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে সূত্রের খবর। জীবনে সার্থকতার অনন্য দৃষ্টান্ত কন্নড় ফিল্ম সুপারস্টার পুণীত রাজকুমার। মাত্র ৪৬ বছর বেঁচে ছিলেন এই দামি তারকা কিন্তু করে গেছেন ২৬টি এতিমখানা, ১৬টি বৃদ্ধাশ্রম, ৪৫টি অবৈতনিক স্কুল, ১টি গোখামার, ১৮০০ ছাত্রের সম্পূর্ণ শিক্ষা জীবনের ব্যয়ভার বহন এবং অন্যদিকে মৃত্যুর সময় নিজের চোখ ও ডোনেট করে দিয়ে গেছেন তিনি।

এম এস, ৩১ অক্টোবর

Back to top button