ক্রিকেট

ইংল্যান্ড ম্যাচে বাংলাদেশ দলে পরিবর্তনের আভাস

আবুধাবি, ২৬ অক্টোবর – শ্রীলংকার হার ভুলে আবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর এবার খেলা আবুধাবিতে। ২৭ অক্টোবর প্রতিপক্ষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন ও গতবারের রানার্সআপ ইংল্যান্ড। যারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এই বিশ্বকাপে ৫৫ রানে অলআউট করে দিয়েছে। আর দুবাইয়ে ম্যাচটি জিতেছে ৬ উইকেটে। বাংলাদেশের হাতে এখন চারটি ম্যাচ রয়েছে। পরের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। সেমিফাইনালের আশা ধূসর।

শারজায় তাসকিন আহমেদকে বসিয়ে নাসুম আহমেদকে নেওয়া হয়েছিল। আবুধাবিতে ফিরতে পারেন তাসকিন।

শারজায় স্পিন ধরছিল। সে জন্য নাসুমকে দলে নেওয়া হয়। নাসুম ভালোই বল করেছেন। আর সাকিব আল হাসান সাপোর্ট দিলেও কাজটি কঠিন হয়ে যায় কিছু ভুল সিদ্ধান্তে। সাকিব ৩ ওভারে ১৭ রানে ২ উইকেট নেন। আর নাসুম ২.৫ ওভারে ২৯ পেয়েছেন ২টি উইকেটই। আবুধাবিতে পেস বোলারদের সুবিধা আছে। যেসব ফাস্ট বোলারের বৈচিত্র্য আছে, তারা ভালো করবে। আবার দুজন জেনুইন স্পিনারও দরকার। বাংলাদেশ শারজায় মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিনকে নিয়ে খেলেছে। নাসুমের সঙ্গে মাহেদীও ছিল। আবুধাবিতে পেসার একটা বাড়াতে হবে।

বাংলাদেশ ইতিহাসে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেছিল ২০০৬ সালে। আর প্রথম বিশ্বকাপ ছিল ২০০৭ সালে। মজার ব্যাপার হচ্ছে- ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ এখনো টি-টোয়েন্টিতে খেলেনি। আবুধাবিতে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। আবার আবুধাবিতেও বাংলাদেশ কখনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেনি। বাংলাদেশ একেবারে নতুন ভেন্যু আর নতুন প্রতিপক্ষের মোকাবিলা করতে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ব্যাপারটি সহজ না বাংলাদেশের। কারণ ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ ভয়ঙ্কর। আর বোলিংয়ে রয়েছে দারুণ বৈচিত্র্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুবারের চ্যাম্পিয়ন। আর তারা সর্বশেষ ২০১৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের লড়াইটা অনেক আর অনেক কঠিন হবে।

সূত্র : আমাদের সময়
এন এইচ, ২৬ অক্টোবর

Back to top button