কোভিডে মৃত্যু সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি, শীর্ষে গুজরাট: গবেষণা
নয়াদিল্লি, ২২ অক্টোবর – সরকারি পরিসংখ্যান বলছে সারা দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন চার লক্ষ ৫২ হাজার ৮৪৪ জন। কিন্তু একটি জীবন বিমা কোম্পানির গবেষণা সম্প্রতি এই সরকারি পরিসংখ্যানকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে। ‘জীবন রক্ষা’ নামের বিমা সংস্থার তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে কোভিডের উপসর্গ নিয়ে সারা দেশে এমন অনেক মানুষ মারা গিয়েছেন যাদের মৃত্যু ‘করোনা-ডেথ’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
স্বাস্থ্য বীমা সংস্থাটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গিয়েছে যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে কোভিড-১৯ এর মৃত্যুর কম রিপোর্ট নথিবদ্ধ করেছে৷ বিমা কোম্পানির মতে শুধু গুজরাতে কোভিড হিসেবে নথিবদ্ধ নয় কিন্তু মহামারীর সয়মের মৃত্যুর সংখ্যা ৫৭৭২ শতাংশ এরপরেই রয়েছে রাজস্থান, রাজ্যটিতে এরকম অ-নথিবদ্ধ মৃত্যুর সংখ্যা ৪৭৩ শতাংশ, ঝাড়খণ্ড ৪৬৪ শতাংশ, এবং উত্তর প্রদেশ ২২৮ শতাংশ
বিমা কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গুজরাট সরকার কর্তৃক জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর ২০২১-এ জারি করা পরিসংখ্যান অনুসারে করোনা মহামারীতে মাত্র ২৩জন মারা গিয়েছে। কিন্তু এই তিন মাস সময়ে গুজরাতে করোনার কারণে মৃত্যুর জন্য ১৩১৬টি বীমা দাবি (পৃথক প্রকল্প) করা হয়েছে৷ যা সরকার প্রকাশিত করোনা মৃত্যু থেকে অনেকটাই বেশি। আবার একই সময়সীমার মধ্যে, রাজস্থান এবং ঝাড়খণ্ড সরকারিভাবে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে ৩৩ এবং ২২ জন করোনায় মারা গিয়েছেন৷ কিন্তু এই সময়ে রাজ্য দুটি থেকে করোনায় মৃত্যু দেখিয়ে বীমার দাবি করা হয়েছে যথাক্রমে ১৫৬ এবং ১০২ টি৷ যা সরকার প্রকাশিত মৃত্যুর পরিসংখ্যান থেকে অনেকটাই বেশি৷
এ প্রসঙ্গে বিমা কোম্পানির তরফের এক গবেষক মাইসুর সঞ্জীব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিশেষ করে গত তিন মাসে কোভিড-১৯ কেস এবং মৃত্যু কৃত্রিমভাবে কম দেখানো হয়েছে। তিনি যোগ করেছেন যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনার সংক্রমণ সরকারিভাবে খাতায় কলমে নিম্নমুখী। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুসারে মৃত পরিবারের সদস্যদের জন্য মৃত্যু পরবর্তী বিমার অর্থ দাবি হওয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) যৌথভাবে একটি পরিবারে প্রতিটি কোভিড মৃত্যুর জন্য ৫০,০০০ টাকার মরণোত্তর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশিকা দিয়েছিল। এবার বিমা কোম্পানির এই গবেষণা কীভাবে চালানো হয়েছিল?
প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জীব বলেন যে, বীমা দাবির তথ্য প্রতিটি রাজ্যে একই রিপোর্ট থেকে বীমা নিয়ন্ত্রক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (আইআরডিএ) দেওয়া হয় এর পাশাপাশি সমস্ত বীমা কোম্পানি, ব্যক্তিগত এবং সরকারী, IRDA এর সাধারণ বীমা (GI) কাউন্সিলকে রিপোর্ট একসঙ্গে নিয়ে এই গবেষণাটি চালানো হয়েছিল৷
সূত্র: ওয়ানইন্ডিয়া
এম ইউ/২২ অক্টোবর ২০২১