জাতীয়

করোনা কমায় রোগীর চাপ আরও বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর – করোনা সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে ধারণক্ষমতা থেকে ৩ গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।

সোমবার সচিবালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ক এক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জাহিদ মালেক বলেন, গত ২০০০-২০০১ সালে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট ছিল ২,৬৮৯ কোটি টাকা। বর্তমানে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট হচ্ছে ৩২,৭৩১ কোটি টাকা। বিগত ২১ বছরে হিসেব করলে স্বাস্থ্যখাতের বাজেট ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সত্যি। তবে বিশ্বের উন্নত দেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, সেসব দেশের স্বাস্থ্য সেবাখাতে বাজেট বহুগুণ বেশি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার থেকে ৩ গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। অথচ আমরা চিকিৎসা সেবায় মোট জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৯ ভাগ ব্যয় করছি। সেখানে উন্নত দেশগুলো জিডিপির ৫ ভাগ বা তারও বেশি ব্যয় করছে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য বর্তমান সরকার অনেক কিছুই করছে। স্বাস্থ্য বীমাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর আইন প্রণয়ন করা গেলে সেটি স্বাস্থ্য সেবায় একটি যুগান্তকারী কাজ হবে।

সভায় স্বাস্থ্যখাতের নানা অর্জনসমূহ তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। করোনায় গত দেড় বছর স্বাস্থ্যখাতে কাজের অগ্রগতিতে নানা সমস্যার কথাও বলেন মন্ত্রী।

সভায় আলোচকরা দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে মানুষের স্বাস্থ্য বীমা করার বিষয়টিতে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। এসময় দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় কিভাবে পকেট এক্সপেনডিচার কমানো যায় সে ব্যাপারে কাজ করতে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, সাবেক আইন সচিব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. শাহজাহানসহ অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এম এস, ১৮ অক্টোবর

Back to top button