টলিউড

নুসরাতকে আগে অপছন্দ করতাম: যশ

কলকাতা, ১৮ অক্টোবর – ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত অভিনেতা যশ দাস গুপ্ত ও অভিনেত্রী নুসরাতের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে গত এক বছর নানা জল্পনা-কল্পনার পালা গজিয়েছে। বিশেষ করে নুসরাতের মা হওয়ার খবর ও তার স্বামী হিসেবে পরিচিত নিখিল জৈনের সন্তানের অস্বীকার- এ আলোচনা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়।

পুত্র ঈশানের পৃথিবীতে আগমনের পরও নুসরাত-যশ কেউ সরাসরি কথা বলেননি। এর কয়েকদিন পর তারা জানান তাদের বিয়ের কথা।

যেভাবে কাছাকাছি হন দুজন

‘ওয়ান’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দুজনে, কিন্তু সেখানে সখ্যতা গড়ে উঠেনি যশ-নুসরতের। তবে ‘এসওএস কলকাতা’ সব হিসেব-নিকেশ উলটে দেয়।

যশ বলেন, ‘আমি ওকে সহকর্মী হিসাবে একদম অপছন্দ করতাম, আমার মনে হত নুসরাত ভীষণ দাম্ভিক।

আমার বন্ধুরা পরামর্শ দিয়েছিল যশের থেকে দূরত্ব বজায় রাখবার’। তবে সব ইকুয়েশন পালটে গিয়েছে মাস কয়েকের মধ্যেই।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন অভিনেতা যশ দাসগুপ্ত।

নুসরতের প্রথম সন্তান ঈশান। তবে যশের আগের স্ত্রীর ঘরে তার ৯ বছরের ছেলে রয়েছে। যদিও সেই সন্তানকে নিয়ে প্রকাশ্যে খুব বেশি কথা বলেননি যশ।

গত মাসে ‘চিনে বাদাম’ ছবির শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ঈশান প্রসঙ্গে যশ বলেন- ‘ঈশান খুব ছোট। সবে ১৫ দিন বয়স। এতো তাড়াতাড়ি কিচ্ছু পরিবর্তন আসে না, বিশ্বাস করুন। আমার ছেলে আছে, যার ইতিমধ্যেই ৯ বছর বয়স হয়ে গেছে, এতো তাড়াতাড়ি কিচ্ছু চেঞ্জ আসে না। এটা সংবাদমাধ্যমের বাড়াবাড়ি’।

ওই সাক্ষাত্কারেই প্রথমবার বড় ছেলের কথা নিজের মুখে বলেছিলেন যশ। যশ ও তার প্রাক্তন স্ত্রী শ্বেতা সিংহ কালহানসের ছেলে যশের কাছে থাকে।

যশকে নিয়ে নুসরাতের কথা
যশ সম্পর্কে অভিনেত্রী নুসরাত বলেন, আমার বন্ধুরা পরামর্শ দিয়েছিল যশের থেকে দূরত্ব বজায় রাখবার’। তবে সব ইকুয়েশন পালটে গিয়েছে মাস কয়েকের মধ্যেই।

ঈশানের অভিভাবকের দায়িত্ব কেমনভাবে পালন করছেন দুজনে?-এ প্রশ্নের উত্তরে নুসরাত বলেন, ‘দুর্দান্ত। এখনও মাঝেমধ্যেই বিশ্বাস করতে পারি না। তবে সৌভাগ্যবশত আমাকে একা সব দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে না। যশ সব কাজে এগিয়ে আসে। আমি অনেক সময় বুঝতে পারি না ঈশান কী বলতে চাইছে, কিন্তু যশ অসাধারণ বাবা’।

পাশ থেকে মুচকি হেসে যশ যোগ করলেন, ‘নুসরত মা হিসাবে দারুণ, আমি বিশ্বাস করি মেয়েরা যখন মা হয়, তখন সহজাতভাবেই সে জানে বাচ্চাকে কীভাবে লালন-পালন করতে হয়’।

এন এইচ, ১৮ অক্টোবর

Back to top button