সালমার সঙ্গে প্রথমবার গাইলেন ডন
ঢাকা, ১৭ অক্টোবর – একের পর এক হিট গান গেয়ে শ্রোতামনে আলাদা আসনে সমাদৃত সময়ের আলোচিত কণ্ঠশিল্পী এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। গানে কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি তার লেখালেখির হাতটাও বেশ। সুর-তাল-লয় নিয়ে খেলা করতে ভীষণ পছন্দ ডনের। তাই তো গানে কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি সুর, কথাতেও মুন্সিয়ানার পরিচয় মিলেছে।
গান রচনা কিংবা সুর দেয়া ডনের জন্য নতুন ঘটনা নয়। সুরের ভুবনে পা রাখার পর থেকেই এই কাজ অত্যন্ত দক্ষতা এবং সুনিপুণভাবে করে যাচ্ছেন। একক গান গেয়ে ইতোমধ্যে সুনাম কুঁড়ানো ডন এবার দ্বৈত সংগীত নিয়ে আসছেন। তার সঙ্গে সুরে সুর মেলাবেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সালমা।
২০০৬ সালে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির তুমুল জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’-এর বিজয়ী সালমার সঙ্গে দ্বৈত গানে কণ্ঠ দেবেন ডন। ‘তুমি কিসের পাইকার বলো রে বন্ধু; খুচরা বুঝো না/ ওই যে ভালোবাসা হয়না রে বন্ধু, পাইকারী বেচাকেনা/ প্রেম বাজারে আমি বন্ধু বড় মহাজন/ জানো তো খুচরা ছাড়া মিলবা না রে মন’—এমন কথার গানটি রচনা ও সুর করেছেন কণ্ঠশিল্পী ডন। গানটি দারুণ আশাবাদী এই শিল্পী। শ্রোতাদের ভিন্ন কিছু দিতে বরাবরই চেষ্টা করেন তিনি। সালমার সঙ্গে গাওয়া এই দ্বৈত গান শ্রোতাদের মনে ঠাঁই করে নেবে বলে বিশ্বাস ডনের।
দেশের স্বনামধন্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক, মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন (গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস) পদে কর্মরত এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। পরিচয়পর্বের এখানেই ইতি নয়। এর পাশাপাশি ক্রীড়াপ্রেমী, ক্রীড়া সংগঠক, সাবেক খেলোয়াড়, শিক্ষক—বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী তিনি। সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দুই বছর পেরিয়েছে।
গত বছর করোনার শুরু থেকেই গানের এই প্রতিভাকে আরো শাণিত করেন। তার এ যাত্রায় বন্ধুর হাতটি বাড়িয়ে দেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। নতুন নতুন কণ্ঠশিল্পী তৈরিতে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা এবং এর কর্ণধার ড. মাহফুজুর রহমানের সুখ্যাতি সকলের জানা। নতুন শিল্পী ইকবাল বিন আনোয়ারের পথচলাও এই এটিএন বাংলাতেই। তবে এটিএন বাংলার তালিকাভূক্ত শিল্পী হতে কঠিন এক পরীক্ষা দিয়ে; সেখানে পাশ নম্বর পেয়ে তবেই নির্বাচিত হয়েছেন ডন। এটিএন বাংলা চ্যানেলে গত বছর রোজার ঈদে প্রথমবারের মতো একক সংগীতানুষ্ঠানে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে পেশাদার শিল্পী হিসেবে পথচলা শুরু ইকবাল বিন আনোয়ার ডনের।
কর্মব্যস্ততার কারণে বহু বছর গান থেকে দূরে ছিলেন। তবে বাড়িতে গানের চর্চাটা কম-বেশি চালু ছিল। ঘরোয়া অনুষ্ঠান বলুন কিংবা শিক্ষক থাকাকালীন কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গানের জন্য ডাক পড়তো তার। গানের প্রতি ডনের ভালোলাগা, ভালোবাসা সেই ছোটবেলা থেকেই। গানের শুরুটা জন্মস্থান টাঙ্গাইলে। ওস্তাদ ওয়াহিদুজ্জামান শিশিরের কাছে হাতে-খড়ি। খেলাধুলা এবং সংস্কৃতিচর্চা দুটোই ছিল ডনের পরিবারে। সংস্কৃতিমনা এক পরিবারের সন্তান তিনি। ডনের মা ছেলের গানের বড় ভক্ত। পরামর্শকও। ডন আবার নিজের মাকে গানের ওস্তাদ বলেও মানেন। বাড়িতে যখন গান করেন, সেখানে সামান্য ভুল-ত্রুটি হলে মা সঙ্গে সঙ্গে ধরে বসেন। এতটুকু ভুলত্রুটিও মায়ের কান এড়ায় না। ভালোবেসে গানের জগতে পা রাখা হলেও এখন পেশাদার হিসেবে নিয়মিত গানের প্রোগ্রাম করছেন। সালমার সঙ্গে ডুয়েটে গেয়ে নিজের সংগীত প্রতিভাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিলেন ডন।
এন এইচ, ১৭ অক্টোবর