ক্রিকেট

মাকসুদের বোলিংয়ে ১৩০ রানের লক্ষ্য পেল ওমান

ঢাকা, ১৭ অক্টোবর – পর্দা উঠল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। পাঁচ বছর আগে প্রথমবার এই ইভেন্টে নাম লেখানো ওমান মুখোমুখি হচ্ছে নবাগত পাপুয়া নিউ গিনির। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে দারুণ শুরু করে তারা। তবে প্রতিরোধ গড়েছে পাপুয়া নিউ গিনি। শূন্য রানে ২ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে দলটি। কিন্তু হঠাৎ করে ছন্দপতন। আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনির প্রতিরোধ ভেঙে যাওয়ার পর জিশান মাকসুদের স্পিনে ১২৯ রানে পাপুয়া নিউ গিনি থামে ৯ উইকেটে।

প্রথম আসরে তিন ম্যাচের একটি জেতা ওমান এবার আরো উচ্চাশা নিয়ে মাঠে নামছে। কারণ প্রথমবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলছে সহআয়োজক হওয়ার কারণে।

নারীদের ব্যান্ড দল ঢাক-ঢোল বাজিয়ে মাঠে ঢুকেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দাও উঠল সপ্তম বিশ্বকাপের।

ওমান অধিনায়ক জিশান মাহমুদ বলেছেন, বিকালের গরমে শুকনো পিচে তিনি তার স্পিনারদের কাজে লাগাতে চান। স্বাগতিকদের দলে রয়েছেন শীর্ষ উইকেটশিকারি ও স্পিন অলরাউন্ডার জিশান মাকসুদ এবং ২৯ বছর বয়সী উইকেটকিপার নাসিম খুশি।

পাপুয়া নিউ গিনিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আসাদ ভালা। লেগ স্পিনার সিজে আমিনি ও অলরাউন্ডার নর্ম্যান ভানুয়া ছাপ রাখতে পারেন তাদের প্রথম বিশ্বকাপে।

প্রথম ও দ্বিতীয় ওভার মিলিয়ে পাঁচ বলের ব্যবধানে দুটি উইকেট হারায় পাপুয়া নিউ গিনি। ডাক মারেন দুই ওপেনার টনি উরা ও লেগা সিয়াকা। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে বিলাল নেন উইকেট। তারপর দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে কলিমউল্লাহ নেন অন্য উইকেট। রানের খাতা না খুলতেই ওমান হারায় ২ উইকেট, পরে অধিনায়ক আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনি প্রতিরোধ গড়েছেন পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ৪০ রান করে ২ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে।

দারুণ ছন্দে ছিলেন আসাদ ও আমিনি। ১০ ওভার যেতেই ভুল বোঝাবুঝিতে ভাঙে এই জুটি। ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে নন স্ট্রাইকে থাকা আমিনি সিঙ্গেল নিতে গিয়ে আসাদের সংশয়ের কারণে ফিরে যান। ততক্ষণে বোলার মোহাম্মদ নাদিম রান আউট করেন তাকে। ২৬ বলে চারটি চার ও ১ ছয়ে ৩৭ রানে মাঠ ছাড়েন আমিনি। অধিনায়কের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৮১ রানের।

৪০ বলে চারটি চার ও তিনটি ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করা আসাদ থামেন ৫৬ রান করে। কলিমউল্লাহর কাছে শেষ হয় তার ৪৩ বলে সাজানো ইনিংসের।

আর দাঁড়াতে পারেনি পাপুয়া নিউ গিনি। ৮১ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটি ৯ উইকেট হারায় ১১৮ রানে। মাকসুদ ১৬তম ওভারে তিন উইকেট নেন। পরের ওভারে এই স্পিনার নবম উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ওমানের সফল বোলার তিনি।

সূত্র : রাইজিংবিডি
এন এইচ, ১৭ অক্টোবর

Back to top button