বিচিত্রতা

সাত পা নিয়ে গরুর বাছুরের জন্ম

সাত পা বিশিষ্ট একটি গরুর বাছুরের জন্মের খবর শুনে বাছুরটি এক নজর দেখার জন্য গ্রামে দর্শনার্থীর ভিড় জমেছে।

গত বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে একজন কৃষকের একটি গাভি এ বাছুরটির জন্ম দেয়। খবরটি দ্রুত সময়ে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা থেকেই প্রতিবেশী থেকে শুরু করে আশপাশের শিশু-কিশোরসহ সব ধরনের লোকজন ভিড় জমাতে থাকে।

ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর মধ্যপাড়ার বক্স আলী ভূঁঞা বাড়ির রূপধন মিয়া গাভিটির মালিক। গত প্রায় ১০ বছর থেকে তিনি গাভিটি লালন পালন করে আসছিলেন। এর আগেও গাভিটি তিনটি বাছুর জন্ম দেয়। এটি চতুর্থ বাছুর। বাছুরটি জন্মের পর দেখা যায় চারটি স্বাভাবিক পা থাকা সত্ত্বেও পিঠের ওপরের অংশে আরও ছোট ছোট তিনটি পা রয়েছে। সাত পা নিয়ে গরুর বাছুর জন্ম নিয়েছে, এ খবর মুহূর্তেই গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। উৎসুক শিশু-কিশোরসহ মানুষ এটি দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।

গাভির মালিক রূপধন মিয়া জানান, বাছুরটি জন্মের পর দুধ পান করছে না। তবে ফিডারের মাধ্যমে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে দাগনভূঁঞা উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ও পশু চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, না দেখে কিছুই বলা যাবে না। তবে হয়তো অপারেশনের মাধ্যমে পিঠের ছোট তিনটি পা অপসারণ ও চিকিৎসা করা যেতে পারে।

উপজেলা ভেটেনারি সার্জন মো. তারেক মাহমুদ জানিয়েছে, এটি বিরল আকৃতির একটি বাছুর। প্রাণিসম্পদ বিভাগের একজন মাঠকর্মী ওই কৃষকের বাড়িতে গিয়ে বাছুরটি সরেজমিনে দেখেন ও খোঁজখবর নেন। তার মাধ্যমে বিষয়টি তিনি অবহিত হয়েছেন। এটি একটি জন্মগত ত্রুটি।

শারীরিকভাবে বাছুরটি সুস্থ হলেই অন্যসব চিকিৎসার কথা চিন্তা করা যাবে। অপারেশন না হলেও ওই বাছুরের চার পায়ের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া ছোট পা তিনটি ধীরে ধীরে শুকিয়ে অকেজো হয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পাদ কর্মকর্তা ড. আনিছুর রহমান বলেন, তিনি প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপজেলা ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়েছেন। তিনি বলেন, যেহেতু বাছুরটির জন্মগত ত্রুটি রয়েছে। সে কারণে বাছুরটি পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সুস্থ-সবল হয়ে উঠলে তখনই চিকিৎসার কথা ভাবা যাবে। চিকিৎসাব্যবস্থা এখন অনেক উন্নত হয়েছে। চিকিৎসায় সুস্থ হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এন এইচ, ১৪ অক্টোবর

Back to top button