কুমিল্লার ঘটনায় চার মামলা, গ্রেপ্তার ৪১
কুমিল্লা, ১৪ অক্টোবর – কুমিল্লায় বুধবার সংঘর্ষের ঘটনায় ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সায়েদুল আরেফিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ ও আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া আফরিন। কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবির টহল অব্যাহত ছিল।
দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ওয়াসিকা আশা খাঁন এমপি এবং ডা. সেলিম মাহমুদ এমপি।
একই সময়ে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন। তারা কুমিল্লা সার্কিট হাউজে দলীয় ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঘটনাস্থলে জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি গোষ্ঠি ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ফয়েজ আহাম্মদ নামের প্রধান সন্দেহভাজনসহ ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার শুরু থেকে নগরীতে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনার মামলা দায়ের হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
পরে বিকেলে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এসব বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি প্রশাসক কামরুল হাসান এবং পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
তারা বলেন, ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সদা তৎপর রয়েছেন। এ ছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা উৎসবও ঠিকঠাক এবং শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে।
এর আগে বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে নগরীর নানুয়া দীঘির পাড় এলাকায় একটি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়। বিক্ষোভ নগরীর কয়েকটি স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। মন্দিরে ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগরীতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
সূত্র : দেশ রূপান্তর
এন এইচ, ১৪ অক্টোবর