নাটক

দুর্গাপূজায় নারী জাগরণের গল্পে ‘বেহুলা পরম্পরা’

ঢাকা, ১৪ অক্টোবর – বেহুলা দরিদ্র ঘরের মেয়ে। দুর্গাপুর গ্রামের জোতদার কাশিনাথের ছেলে রামনাথের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বাসর ঘরে হঠাৎ রামনাথ পাগলামী করতে থাকে। ছোট ভাই চন্দ্রনাথের ঘরের দরজায় গিয়ে চিৎকার করে। বাবা এসে তাকে বকাবাকি করে। বেহুলা ভয় পেয়ে যায়। মা সুলেখা দেবী দূরে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলে। কিছুক্ষণ পর চন্দ্রনাথ এসে যখন ঔষধ দেয় তখন রামনাথ শান্ত হয়। বেহুলা বুঝে ফেলে তাকে একজন নেশাখোর স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে হবে।

দুই দিনের মধ্যে এটাও বুঝে ফেলে রামনাথের শত্রু শুধু নেশা নয়, শ্বশুর কাশিনাথ ও দেবর চন্দ্রনাথও তার শত্রু। কারণ রামনাথ কাশিনাথের নিজের সন্তান নয়। কাশিনাথ যে সম্পত্তির উপর দাঁড়িয়ে জোতদারগিরি করে সেগুলো সব সুলেখার সম্পত্তি। কাশিনাথ ছিলো রামনাথের বাবার পালিত ভাই। রামনাথের বয়স যখন দুই বছর তখন তার বাবা মারা যায়। সেই সময় রামনাথের ঠাকুরদা সুলেখার নামে সমস্ত সম্পত্তি লিখে দেয়। মূলত সম্পত্তির জন্যই বাবা-ছেলে মিলে রামনাথকে শেষ করে দিতে চায়। এই পরিস্থিতিতে শাশুড়ি সুলেখা বেহুলার পাশে দাঁড়ায়। রামনাথকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানায়।

বেহুলা চেষ্টা করে রামনাথকে নেশা থেকে ফেরাতে। রামনাথকে নিয়ে শহরে যায়। যাওয়ার সময় প্রতিজ্ঞা করে, যদি রামনাথকে সুস্থ করতে পারে তবেই তারা বাড়িতে ফিরে আসবে। এদিকে, কাশিনাথ আর চন্দ্রনাথ মিলে সুলেখাকে বলে, রামনাথ আর সুস্থ হয়ে আসতে পারবে না তাই সম্পত্তি চন্দ্রনাথের নামে লিখে দিতে। এরপর গল্প মোড় নেয় ভিন্ন দিকে।

এমন গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘বেহুলা পরম্পরা’। স্বাধীন শাহ্ রচিত এ নাটক পরিচালনা করেছেন বর্ণ নাথ। এতে অভিনয় করেছেন এফ এস নাঈম, ফারহানা মিলি, শহীদুল্লাহ সবুজ, শিল্পী সরকার অপু প্রমুখ। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার হবে নাটকটি।

এন এইচ, ১৪ অক্টোবর

Back to top button