ঢালিউড

পূজামণ্ডপে ফেরদৌস নাচলেন, অন্যদেরও নাচালেন

ঢাকা, ১৩ অক্টোবর – সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে এ উৎসব। এই সময়টা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে চলে মহোৎসবের আয়োজন। মণ্ডপে মণ্ডপে বাজে ঢাকের বাদ্য।

উৎসব হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হলেও পূজা দেখতে যান অন্য ধর্মাবলম্বীরাও। এবার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে গেন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস। মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে যান তিনি। এ সময় বক্তব্য শেষে সেখানকার নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে নেচে তাদের উৎসাহ দেন।

এ সময় তার সহপাঠী ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনিও ফেরদেৌসের নাচ উপভোগ করেন।

ফেরদৌস বলেন, ‘এখানে এসে আমি খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছি। আমার সেই ছোটবেলার স্মৃতিতে চলে গিয়েছিলাম। বিশ্বাসই হচ্ছিল না আমি আজকে নারায়ণগঞ্জ আসবো। আমার বন্ধু ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে ধন্যবাদ। আসলে ও মাঝে মধ্যে এমন সব কাজ করে আমি বিস্মিত হয়ে যাই। যেমন আজকে বলল- তোকে একটা পূজায় নিয়ে যাবো। আমাকে বলেনি কোথায়। বিকেল থেকেই সে প্রচণ্ড ব্যস্ত নির্বাচন নিয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছোটবেলার শহর। অত্যন্ত প্রাণের শহর। আমার বেড়ে ওঠার সঙ্গে আজকে আমি ফেরদৌস হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে এ শহর। কারণ শিল্প সংস্কৃতির দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ অনেক ধনী। নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভীষণ সংস্কৃতমনা। আমি নিজেও ছোটবেলায় বুঝতাম না হিন্দু-মুসলমানের কী তফাত। ঈদে আমার হিন্দু বন্ধুরা আমাদের বাড়িতে আসতো, পূজায় আমরা তাদের বাড়িতে যেতাম। আমরা বিশ্বাস করি ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’

বর্তমানে এ অভিনেতার হাতে আটটি সিনেমা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তিনটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন তিনি। সিনেমাগুলো হলো- জি এম ফারুকের ‘যদি আরেকটু সময় পেতাম’, মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস’ এবং এখলাস আবেদিনের ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’।

অন্যদিকে হৃদি হকের পরিচালনায় ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ আফজাল হোসেনের ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ এবং নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ ও নুর আলমের ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’ সিনেমাগুলোর শুটিংও শেষের পথে।

এন এইচ, ১৩ অক্টোবর

Back to top button