জাতীয়

এখন রাজনীতি হচ্ছে বাড়ি-গাড়ি করার: মির্জা ফখরুল

ঢাকা, ১৩ অক্টোবর – বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন রাজনীতি হচ্ছে পদ চাই, পদবী চাই আর বাড়ি-গাড়ি চাই। টাকা পয়সা কিভাবে অর্জন করব সেগুলো দরকার। এ দিয়ে কোন পরিবর্তন হয় না।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফসার আহমদ সিদ্দিকীর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়াজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, এখন রাজনীতি হচ্ছে পদ চাই, পদবী চাই আর বাড়ি-গাড়ি চাই। টাকা পয়সা কিভাবে অর্জন করব সেগুলো দরকার। এ দিয়ে কোন পরিবর্তন হয় না। পরিবর্তন আনতে হলে আফসার আহমেদ সিদ্দিকির মতো ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। যাদের জন্ম অত্যন্ত সচ্ছল পরিবারে, কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য তারা নিজে ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

‘যারা ভোগ বিলাশ করে তারা পরিবর্তন আনতে পারে না। ইতিহাস বলে, যারা বিলিয়ে দিতে জানে তাদের হাত ধরেই সমাজের পরিবর্তন আসে।’

সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থা একেবারে ফোকলা করে দিয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, একেবারে পুরোপুরিভাবে লুট করেছে। প্রতিটি ব্যাংক আজকে বিপদগ্রস্ত হয়ে আছে। আপনি ব্যাংকারদের সাথে কথা বললে দেখবেন, তারা বলবে- ভাই সব শেষ। আমার এক বন্ধু আছে, নাম বলবো না- তিনি ব্যাংক সেক্টরে বড় একটি দায়িত্বে ছিলেন।

তিনি বলেছেন, যারা ব্যাংকে টাকা রাখেন তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রতিটা ব্যাংকে প্রায় ব্যাংকক্রাফট হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে আওয়ামী লীগের লোকেরা ছাড়া কেউ লোন পায় না। ব্যাংকগুলোর ডাইরেক্টরও আওয়ামী লীগের লোকেরা। ১০ কোটি টাকা লোন নিলে তাদের ৫ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়। আর বাকি ৫ কোটি টাকা ফেরত দিতে হয় না। কারণ আওয়ামী লীগের হুকুমে হয়েছে। ওই লোন ফেরত না দিলেও চলবে। এই হলমার্কসহ যতকিছু দেখছেন প্রত্যেকটাতে চরমভাবে লুণ্ঠন চলছে। কারণ স্বয়ং সরকার প্রধান বলছেন, যে যা পারো খেয়ে ফেল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে যাদের যুদ্ধে যাওয়ার সময়, সংগ্রাম করার সময়, যারা এই দুঃসময়কে দূর করবে, যারা এই অন্ধকারকে দূর করে আলো নিয়ে আসবে- তারা কোথায়? সেই যুবক কোথায়? সেই তরুণ কোথায়? তাদের তো সামনে আসতে হবে। তাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি সংগ্রামে অবশ্যই তাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। আমি অনেক দিন যাবৎ এই কথা জোর দিয়ে বলছি, কারণ এটা ছাড়া কোন উপায় নাই।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ১৩ অক্টোবর

Back to top button