তালেবানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক অনুষ্ঠিত
দোহা, ১৩ অক্টোবর – প্রথমবারের মতো তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার টেবিলে বসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর রয়টার্সের।
বৈঠকের আগে তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোল্লা আমির খান মুত্তাকি জানান, বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় তালেবান। ইতোমধ্যে কিছু বৈঠক হয়েছে। আমরা একটি ভারসাম্যের নীতি নিয়ে চলতে চাই। একমাত্র এই নীতিই আফগানিস্তানকে স্থিতিশীল পরিবেশ দিতে সক্ষম।
তালেবানের সঙ্গে ইইউর মুখপাত্র নবিলা মাসরালি বলেন, আলোচনার মানে এটা নয় যে, ইইউ আফগানিস্তানকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে বৈঠকে নারীদের অধিকার নিয়ে কথা হবে, আফগানিস্তানকে সাহায্য দেওয়া নিয়েও কথা হবে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই (শনিবার) দোহায় ক্ষমতা দখলের পর প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসে তালেবান ও মার্কিন সিনিয়র কর্মকর্তারা। পরদিন রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কাজ দিয়ে তালেবানদের মূল্যায়ন করা হবে।
বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল- নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ উদ্বেগ এবং আফগানিস্তানে এখনো রয়ে যাওয়া মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন। এ ছাড়া অন্যান্য বিদেশি নাগরিক ও আফগান, যারা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছে।
তালেবান সরকারকে ইইউর সহায়তা
এর আগে আফগানিস্তানকে ১ বিলিয়ন ইউরো (১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) সহায়তার ঘোষণা করেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলেন, মানবিক সংকট ও আর্থসামাজিক অর্থনীতি ভেঙে পড়ায় তাদের এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবে এই অর্থ সরাসরি আফগানিস্তানের মানুষের জন্য দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক যেসব সংস্থা দেশটিকে কাজ করছে তাদের মাধ্যমে এ অর্থ প্রেরণ করা হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা এ বিষয়টি আফগানিস্তান কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকারের বিষয়ে শ্রদ্ধাসহ আমাদের শর্তের কথা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি।
সূত্র: যুগান্তর
এম ইউ/১৩ অক্টোবর ২০২১