জাতীয়

জেলেই ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন মো. ইরফান সেলিম

ঢাকা, ২৭ অক্টোবর- নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ঘটনায় গ্রেপ্তার হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইরফান সেলিমকে কারাগারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। মাদক ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত সেলিমকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেন।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম তাকে এ সাজা দেন। এ সময় ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসলামকেও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো নতুন বন্দিকে একটি সেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। সে অনুযায়ী ইরফানকেও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘ইরফান কারাগারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।’

এর আগে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে হাজী সেলিমের ছেলে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইরফানের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ৮তলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে অভিযান চলে। ইরফানের বাসা থেকে বেশ কিছু অবৈধ জিনিস উদ্ধার করে র‌্যাব। এর মধ্যে ছিল একটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫-৬ লিটার মদ ও ৪০০ পিস ইয়াবা। পাওয়া যায় বেশ কিছু বিয়ারের ক্যান।

আরও পড়ুন:  বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা!

তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা এবং ব্যবহারের দায়ে ইরফান সেলিমের এক বছরের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম। এ সময় ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসলামেরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে হাজী সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ। মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দীপু, জাহিদ, মিজানুর রহমান ও অজ্ঞাতনামা আরো দুই-তিনজন।

সূত্র: কালের কন্ঠ

আর/০৮:১৪/২৭ অক্টোবর

Back to top button