জাতীয়

হাইকোর্টের নির্দেশের পর বাবার বাসায় ঢুকলেন সেই ২ বোন

ঢাকা, ২৭ অক্টোবর- উচ্চ আদালতের আদেশের পর রাজধানীর গুলশানের দুই বোন মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশ্বেরা মোস্তফাকে তাদের বাবা মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের গুলশানের বাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে তাদেরকে বাড়িতে তুলে দেয় গুলশান থানার পুলিশ।

এর আগে আজ ছুটির দিনে আদালত বসে ওই দুই বোনকে অবিলম্বে বাড়িতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে গুলশান থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তাকে ফোন করে ওই মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশ্বেরা মোস্তফাকে গুলশানের বাড়িতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাড়ির সামনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে এলে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রাত সোয়া ৭ টার দিকে স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ ওই আদেশ দেন। নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে সোমবার রাতেই তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: দুই বোনকে এখনই বাবার বাসায় প্রবেশ নিশ্চিত করার নির্দেশ হাইকোর্টের

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে বাড়িটি প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর। গৃহকর্তার মৃত্যুর পর মালিকানা নিয়ে বিরোধে তার দুই মেয়ে অবস্থান নিয়েছেন বাড়ির সামনে। ওই দুই বোনের দাবি, বাড়ির দখল বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুরের হাতে। তিনি কিছুতেই ওই বাড়িতে তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না।

গত ১০ অক্টোবর মোস্তফা জগলুলের মৃত্যু হয়। মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ পেশায় পাইলট ছিলেন। ভাইবোনদের মধ্যে শুধু সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশে নেই। দুই দিন ধরে বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা। তারা বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

মুশফিকা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ১৯৮৪ সালে তার মাকে নিয়ে বাবা গুলশানের এই বাসাতেই সংসার শুরু করেছিলেন। তাদের জন্ম এই বাড়িতে। ২০০৫ সালে তাদের মা–বাবার বিচ্ছেদ হয়।

পরে আঞ্জু কাপুর নামে এক ভারতীয়কে তাদের বাবা বিয়ে করেন। তিনি একাই এখন এই বাড়ির ভোগদখল করছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এম এন / ২৭ অক্টোবর

Back to top button