দক্ষিণ এশিয়া

শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড-অঙ্গচ্ছেদ ফেরাচ্ছে তালেবান

কাবুল, ২৪ সেপ্টেম্বর – আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবানরা সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে শিরচ্ছেদ বা গলা কেটে হত্যার দণ্ড পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে তারা দণ্ড হিসেবে হাত কাটার মতো শাস্তি আবারও চালু করবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। তালেবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা নূরউদ্দিন তুরাবি এ তথ্য জানিয়েছেন।

তুরাবি ১৯৯০ এর দশকে সংগঠনটির হয়ে কঠোর শাস্তির বিধান চালুকরণে অন্যতম নেতৃত্বদানকারী হিসেবে ছিলেন। তিনি আগের তালেবান সরকারের বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। তবে জানা গেছে, অপরাধের শাস্তিসরূপ এসব দণ্ড প্রকাশ্যে কার্যকর নাও হতে পারে।

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতা মোল্লা নূরউদ্দিন তুরাবি অতীতে অপরাধের সাজা হিসেবে শিরচ্ছেদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক বিরোধিতা প্রত্যাখ্যান করেন।

তালেবান প্রথম দফায় ক্ষমতায় থাকাকালে প্রকাশ্যে স্টেডিয়ামে গলাকেটে দণ্ড কার্যকর করতে দেখা গেছে। এ তালেবান নেতা আফগানিস্তানে তালেবানের আইনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে বিশ্বকে সতর্ক করেন।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দেয়া সাক্ষাৎকালে তুরাবি বলেন, ‘স্টেডিয়ামে দণ্ড কার্যকর করায় সবাই আমাদের সমালোচনা করেছে। কিন্তু আমরাতো কখনো তাদের আইন বা তাদের দণ্ড নিয়ে কোনো কথা বলিনি।’

তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের বলতে পারবে না যে আইন কেমন হবে। আমরা ইসলাম অনুসরণ করবো এবং কুরআনে উল্লেখের ভিত্তিতে আমাদের আইন বানাবো।’

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, গত ১৫ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তখন থেকে বিশ্ব তাদের দিকে নজর রাখছে যে, তারা সেই ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের শাসনে ফিরে যায় কিনা। তোরাবির বক্তব্য তালেবানের কট্টরপন্থী মনোভাবকে সামনে আনছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

Back to top button