জাতীয়

বাংলাদেশে বিদ্যুৎচালিত ব্যক্তিগত গাড়ি আমদানির পথ খুলছে

ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর – বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আমদানিকৃত বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং নীতিমালা নিয়েও কাজ করছে তারা। নীতিমালা চূড়ান্ত হলেই বিদ্যুৎচালিত মোটরযান আমদানী শুরু করার প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে বিদ্যুৎচালিত প্রাইভেট কারসহ অন্য যানবাহনগুলো কবে নাগাদ আমদানি সম্ভব হবে সে বিষয়ে এখনো কোন সময়সীমা ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইউছুব আলী মোল্লা বলেন, বিদ্যুৎচালিত যানবাহন সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করতে বুধবার দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে খসড়া নীতিমালা আরও পর্যালোচনা করার জন্য একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি করা হয়েছে। গঠিত কমিটি ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, রিপোর্ট পাওয়ার পর আবার আলোচনা হবে, মন্ত্রণালয়ের মতামত নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো পক্ষ আলোচনা করতে হবে। এসব ধাপ পেরুনোর পর নীতিমালা চূড়ান্ত করে আমরা মন্ত্রণালয়ে দিতে পারবো। এতে কিছুটা সময় লাগবে।

প্রায় দুই বছর আগে সারাদেশে অবৈধভাবে চলা বিদ্যুৎচালিত যানবাহন, বিশেষ করে ইজিবাইককে শৃঙ্খলায় আনতে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ।
শুরুতে বিদ্যুৎচালিত যানবাহন চলাচলের সুযোগ রাখা হবে কি না তা নিয়ে সরকারের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও পরবর্তিতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া আর পরিবেশ-বান্ধব বিবেচনায় বিদ্যুৎচালিত যানবাহন আমদানি ও চলাচলের জন্য নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়।

পরে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া প্রস্তাবনা তৈরির কথা বললে খসড়া পাঠায় বিআরটিএ। খসড়ায় মূলত ওই সময়কার বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনকে নিবন্ধনের আওতায় আনার ওপর জোর দেয়া হয়েছিল।

বিআরটিএর রোড সেফটি উইংয়ের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, বুয়েটের সাথে আলোচনা করে একটি খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। এখন মন্ত্রণালয় ওই নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে। এটি চূড়ান্ত করে ওয়েবসাইটে দেয়া হবে। এরপর বিদ্যুৎ চালিত সবধরণের যানবাহন চলাচলের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছি।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ১৭ সেপ্টেম্বর

Back to top button