ফুটবল

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে দরজা ভেঙেছিলেন রুনি!

বদমেজাজি হিসেবে এমনিতেই ওয়েন রুনির একটা দুর্নাম আছে। মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে তার মেজাজ হারানোর ঘটনাও দেখা গেছে। এবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড লিজেন্ড তার স্ত্রী কলিনের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার পর কতটা রেগে গিয়েছিলেন, তা ফাঁস করলেন। এতটা রাগ জীবনেও নাকি হননি তিনি।

বক্সার টনিক বিলিউর ‘টনি বিলিউ ইজ অ্যাঙ্গরি’ পডক্যাস্টে রুনি তার জীবনের সবচেয়ে বেশি রেগে যাওয়ার গল্প বললেন। ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতা ফিরে গেলেন, যখন তিনি ম্যানইউর সঙ্গে সদ্য চুক্তি করেছেন এবং একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ক্লাব সতীর্থের সঙ্গে প্রায় সময় বাইরে যেতেন রুনি। কলিন তাতে খুব একটা খুশি ছিলেন না। ডার্বি কাউন্টির বর্তমান কোচ বললেন, ‘ওই বয়সে থাকলে তর্কাতর্কি অনেক হয় এবং সে প্রায় সময় তা করত। তখন ভাড়া বাসায় থাকতাম। একদিন এমন রাগ উঠল যে বাসার প্রত্যেকটি দরজায় ঘুষি মেরেছিলাম। শেষ দরজায় গিয়ে লাথি দিলাম, আমার পা ভাঙা দরজায় আটকে গেল।’

রুনি আরও বলতে থাকলেন, ‘আমি এক পায়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। পড়েই যাচ্ছিলাম, অনেক চেষ্টা করেছি পা দরজা থেকে ছাড়িয়ে নিতে। তখন আবারও মাথা গরম হয়ে গেল, তখন আমি পুরোপুরি ভেঙে ফেললাম দরজাটা।’

ওই ঘটনার পর পর বন্ধু ও সতীর্থ রিও ফার্ডিনান্ড আসেন। রুনির মুখে শুনুন, ‘তারপর রিও ফার্ডিনান্ড আসল, সে আমাকে থামাল এবং বাসা ঘুরে দেখল। প্রত্যেক দরজায় গিয়ে দেখতে পেল ঘুষির আঘাত এবং শেষ দরজায় বড় ফুটো, যেখানে আমার পা ঢুকে গিয়েছিল। পরে মাথা ঠাণ্ডা হওয়ার পর ভাবলাম, ‘আহ আমি কী করছি?’’

৩৫ বছর বয়সী সাবেক ফরোয়ার্ড জানান, এখন রাগ কীভাবে সামলাতে হয় তা শিখেছেন। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক স্বীকার করলেন, তিনি ও কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন মাঝেমধ্যে ম্যাচ চলার সময় একে অন্যের সঙ্গে চিৎকার করতেন।

সূত্র : রাইজিংবিডি
এন এইচ, ১৬ সেপ্টেম্বর

Back to top button