আইন-আদালত

আদালতকে যা বললেন পরীমনি

ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর – চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল আজ। এজন্য বেলা পৌনে ১১টার দিকে আদালতে কালো রঙের একটি গাড়িতে আদালতে আসেন তিনি। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মামলার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাডভোকেট নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী পরীমনির সাদা রঙের গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জব্দ হওয়া জিনিসপত্র চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমরা আদালতে দুইটি আবেদন করেছি। একটি পরীমনির ব্যবহৃত সাদা গাড়িটি জিম্মায় নেওয়ার এবং আরেকটি হচ্ছে তার মোবাইল ল্যাপটপসহ জব্দ করা অন্যান্য জিনিসপত্রের। এগুলো পরীমণির নিজের ব্যবহৃত জিনিস। অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এগুলো জব্দ করে। সেজন্য আমাদের কাছে কোন ডকুমেন্ট নেই। যেহেতু তিনি একজন চিত্রনায়িকা। অন্ততপক্ষে গাড়িটি যেন তার জিম্মায় দেওয়া হয়।’

পরীমনি বলেন, ‘গাড়িটি আমার। গাড়ির সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে। গাড়িটি না থাকায় আমি চলাচলে খুব সমস্যা বোধ করছি। মোবাইলের কারণে আমি কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছিনা। জব্দ হওয়া প্রসাধনীর বক্সটি আমার খুব প্রয়োজন। এছাড়াও চাবির বক্স রয়েছে। এগুলো আমার খুব প্রয়োজন। আমি অনুরোধ করছি এগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন আমার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে, তখন সব ড্রয়ার ও আসবাবপত্র তছনছ করে ফেলে। এমনকি প্রেসক্রিপশনসহ আমার ওষুধের বক্সটা পর্যন্ত তারা নিয়ে যায়। আমার গাড়িসহ অন্যান্য জিনিসের কোন কাগজপত্র আমার কাছে নেই। বাসায় আমি ছাড়া আর আমার কোন কিছুই নেই।’

রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনে বিরোধিতা করে বলেন, ‘যেহেতু এর কোনো কাগজপত্র নেই, তাই যাচাই-বাছাই করা সম্ভব না। তাদের আবেদন নামঞ্জুর করার দাবি জানাচ্ছি।’ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে বিআরটিএ থেকে গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আদালত থেকে চলে যান পরীমনি।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আবারও ১৯ আগস্ট এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন তিনি কারামুক্ত হন।

সূত্র : রাইজিংবিডি
এন এইচ, ১৫ সেপ্টেম্বর

Back to top button