শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের টিকা ও স্কুল-কলেজ খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিকেলে

ঢাকা, ০৫ সেপ্টেম্বর – মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্টানগুলো খুলে দেয়া হতে পারে ১২ সেপ্টেম্বর। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আজ রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) আন্তঃমন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক বসছে।

ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে ইতিবাচক সুপারিশ করেছে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। মূলত ওই সুপারিশের আলোকেই এই সভা হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সভাপতিত্ব করবেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে পরামর্শক কমিটি দুইটি শর্ত দিয়েছে। সেগুলো হলো- স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি ও শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হবে। পাশাপাশি যেসব শিক্ষক-কর্মচারী টিকা নিতে পারেননি তাদের টিকা দেয়ার কাজটিও শেষ করতে হবে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে থেকে খোলা হবে এবং খোলার পর কী কী করণীয় হবে সেসব বিষয়ে রোববার বিকেল ৩টায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে পড়েছে, সেই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়ে আমরা কিছু পরিকল্পনা তৈরি করেছি। বৈঠকে আমরা তা উপস্থাপন করবো। এসব পরিকল্পনা আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। এরপর সব সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১৭ অক্টোবর খোলার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার সময়ও এগিয়ে আনা হতে পারে।

যদিও শিক্ষামন্ত্রী গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে আমরা আবারও বসবো। উপাচার্যরা চাইলে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একই সঙ্গে খোলার ঘোষণা দিতে পারে। আবার আলাদা তারিখও নির্ধারণ করতে পারেন। তবে আজকের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত হতে পারে।

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল কলেজ খুলে দেয়া হলেও শুরুতে চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয়দিন করে ক্লাস নেয়া হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস হবে। একটি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের তিনটি কক্ষে বিভাজন করে ক্লাস নেয়া হবে। এছাড়াও প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির সপ্তাহে একদিন আর চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস করানো হবে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

Back to top button