বার্সেলোনায় প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয় না খেলোয়াড়দের
স্প্যানিশ ক্লাব ফুটবলে অন্যতম জায়েন্ট বার্সেলোনা। ঐতিহ্য থেকে শুরু করে সম্মানের দিক থেকে এই ক্লাবকে ঘিরে কত স্বপ্ন দেখেন ফুটবলাররা। অথচ সেই ক্লাবেই নাকি ফুটবলারদের প্রাপ্য সম্মান করা হয় না। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন মিডফিল্ডার মিরালেম পিয়ানিচ।
নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান আসার পর থেকেই স্কোয়াডে জায়াগা হয় না তার। গত মৌসুমের মতো এবারও প্রথম দুই ম্যাচেই ছিলেন না তিনি। গত মৌসুমে যে কয়টা ম্যাচ খেলেছেন তার মধ্যে বেশিরভাগই অল্প সময়ের জন্য মাঠে নামানো হয়েছে তাকে। যার কারণে নিজের সামর্থের প্রমাণ রাখতে পারেননি তিনি। এই মৌসুমের শুরুতে এক বছরের জন্য লোনে ইস্তাম্বুলের ক্লাব বেসিকতাসে তাকে পাঠিয়ে দিয়েছে বার্সা। ক্লাব ছেড়েই ক্ষোপে ফেটে পড়েছেন তিনি।
পিয়ানিচ বলেন, ‘হ্যাঁ, কোচ অসম্মান করেছেন। আমি গত বছর যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম, তাতে মানিয়ে নিতে পারিনি। এমন কিছু তো আমি চাইনি! আমি একজন খেলোয়াড়, ফুটবল খেলতে ভালোবাসি। আর এটাই আমাকে সবসময় আনন্দ দেয়। সবসময়ই বার্সার হয়ে খেলতে চেয়েছি, কিন্তু সবকিছু এত জটিল হয়ে যাবে বুঝিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই বার্সেলোনার খেলার ধরনকে ভালোবেসেছি, তাদের খেলাও দেখতাম। তাদের দর্শনটা ছিল পরিষ্কার, আমার খেলার ধরনও মিলে যেত। এখানে অনেক খেলোয়াড়কে দেখেছি, যাদের সঙ্গে খেলার স্বপ্নই দেখেছি আমি। বার্সেলোনার মতো ক্লাবে খেলাটা আমার একটা লক্ষ্য ছিল, কিন্তু আমি এমন জটিল পরিস্থিতি মোটেও আশা করিনি।’
বার্সেলোনায় আসার পর একটা ভিডিও প্রকাশ হয় পিয়ানিচের, যেখানে দেখা যায় তার বাবা-মা রীতিমতো কাঁদছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা মায়ের কাছে এটা অনেক বেশি আবেগী একটা মুহূর্ত ছিল। আমি তাদের জন্য খুশি ছিলাম, কিন্তু এটা আমার জন্যেও স্বপ্নের মতো ছিল। আমি জুভেন্তাসে খুশিই ছিলাম। বার্সেলোনা দুই বছর ধরে আমাকে দলে ভেড়াতে চাইছিল, কিন্তু পারেনি। যখন সুযোগ এলো, তারা লুফে নিল। বাল্যকালের স্বপ্নের ক্লাবে এসে আমিও আনন্দিত ছিলাম, অনেক আশা ছিল। কিন্তু এখানে এসে পেলাম এক কোচকে যিনি… আমি জানি না…।’
সূত্র : আমাদের সময়
এন এইচ, ০৪ আগস্ট