বায়ুদূষণে ভারতীয়দের আয়ু নয় বছর কমতে পারে: গবেষণা
নয়াদিল্লি, ০১ সেপ্টেম্বর – আগামী ৯ বছরের মধ্যে বায়ুদূষণের কারণে ভারতীয়দের আয়ু কমার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে বলে এক গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণা দলের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
গবেষণা বলছে, ভারতের উত্তরাঞ্চলে বসবাস করা ৪৮ কোটি মানুষ বায়ুদূষণের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছেন। বায়ুদূষণ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে দেশটির অন্যত্রও।
তবে ক্লিন এয়ার পলিসির মতো শক্ত পদক্ষেপ আয়ু কমার প্রবণতা পাঁচ বছর কমিয়ে আনতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
বিশ্বে প্রতি বছর বায়ুদূষণের র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকছে ভারত এবং দূষিত বাতাসের কারণে ১০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট (ইপিআইসি) এক রিপোর্টে জানায়, ভারতের দূষণ বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে দশগুণ বেশি। যুগের পর যুগ দূষণ ঘটছে পশ্চিম ও মধ্য ভারতের রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে। যেখানকার মানুষের দুদিন বছর পর্যন্ত আয়ু কমেছে ২০০০ সালের পর থেকে।
ইপিআইসির তথ্যমতে, এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স রিপোর্ট বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রতি ঘনমিটারে যদি ১০ মাইক্রোগ্রাম বায়ুদূষণ কমানো সম্ভব হয় রাজধানী দিল্লিতে, তাহলে মানুষের আয়ু ১০ বছর বেড়ে যেতে পারে।
২০১৯ সালে ভারতে বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭০ দশমিক ৩ মাইক্রোগ্রাম, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এ রিপোর্ট থেকে আরও জানা যায়, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশের কাছাকাছি মানুষ উচ্চঝুঁকিতে রয়েছেন এবং এসব দেশ তালিকার প্রথম সারির পাঁচটির মধ্যে থাকছে।
২০১৯ সালে ভারতের বায়ুদূষণ রোধে ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রামের (এনসিএপি) উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে এতে। এটি লক্ষ্য অর্জনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
রিপোর্টে চীনের উদাহরণ টেনে বলা হয়, কার্যকর পদক্ষেপ নিলে তা দ্রুত কমানো সম্ভব। ২০১৩ সালের পর থেকে বিভিন্ন উৎপাদন থেকে ২৯ শতাংশ দূষণ কমিয়ে এনেছে দেশটি।
সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/০১ সেপ্টেম্বর২০২১