সিলেট-৩ আসনে ভোটে ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন
সিলেট, ০১ সেপ্টেম্বর – আজকের (বুধবার) পর আর মাত্র ২ দিন। করোনা পরিস্থিতিতে বার বার তফসিল ঘোষণা ও ভোটগ্রহণের তারিখ পেছানোর পর অবশেষে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সিলেট-৩ আসনে অনুষ্ঠিত হবে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে আসনটিতে শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। এছাড়া আসনটির ৩ উপজেলা- দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে নির্বাচনপূর্ব সকল অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আজ (বুধবার- ১ সেপ্টেম্বর) বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে ২ সদস্যবিশিষ্টি একটি ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমশিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তাসলিমা শারমিন ও সিনিয়র সহকারী জজ নির্জন কুমার মিত্র।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসন। যার সংসদীয় নং ২৩১। আসনটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার ও ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি।
চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনায় সংক্রমিত অবস্থায় সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটির সাংসদ আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফা (৪) অনুযায়ী, উক্ত শূন্য আসনে ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও করোনার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় শূন্য আসনটিতে ৮ জুন পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সেই তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ জুলাই এই আসনের উপনির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর দুদিন আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন আদালত। পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য্য করে ইলেকশন কমিশন।
তফশিল ঘোষণার পর থেকেই উত্তাপ ছড়াচ্ছিলো সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন। প্রার্থীদের কথার লড়াই একসময় প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে গড়ায় মাঠে। আসনজুড়ে প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেখা দেয় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। চলে মিছিল-মিটিং-শোডাউন। সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও শুরু হয় নির্বাচনকেন্দ্রীক আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু আগস্টের শুরুতে করোনার ঢেউ থামিয়ে দেয় সবকিছু।
এর আগে গত ১৫ জুন মনোনয়ন জমা দেন মোট ৬ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাহমিদা হোসেন লুমা ও শেখ জাহেদুর রহমান মাসুম।
এর মধ্যে ফাহমিদা ও মাসুম ছাড়া সবার মনোনয়নপত্র ১৭ জুন বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন অফিস। দাখিলকৃত মনোনয়নে ভোটারদের তথ্য যথাযথ না পাওয়ায় ফাহমিদা ও মাসুমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরে তারা আপিল করলেও আগের রায় বহাল রাখে নির্বাচন কমিশন। ফলে তারা দুজন ঝরে পড়েন নির্বাচন থেকে।
বহাল থাকা ৪ প্রার্থীর প্রার্থীর মধ্যে ২৫ জুন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব নৌকা, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক বিএনপি নেতা শফি আহমদ চৌধুরী মোটরগাড়ি (কার) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ডাব প্রতীক পান। এর মধ্যে শফি আহমদ চৌধুরী ছাড়া বাকি ৩ জন পান দলীয় প্রতীক।
সূত্র: সিলেট ভিউ
এম ইউ/০১ সেপ্টেম্বর২০২১