সংগীত

বাউল গান কারও একক সম্পত্তি নয় : শাওন

এমদাদুল হক মিলটন

ঢাকা, ২৫ অক্টোবর- মেহের আফরোজ শাওন। তারকা অভিনেত্রী, কণ্ঠশিল্পী ও নির্মাতা। সম্প্রতি তিনি পার্থ বড়ুয়ার সংগীত পরিচালনায় চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে ‘যুবতী রাধে’ গানটি নতুন করে গেয়েছেন। ব্যান্ড ‘সরলপুর’ গানটির মেধাস্বত্ব দাবি করায় এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। এ গান ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে-

অনেকদিন পর ‘সর্বতো মঙ্গল রাধে’ গানটি করলেন। হঠাৎ ইউটিউব থেকে এটি তুলে নেওয়া হলো। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
ইউটিউব থেকে গানটি সরিয়ে নেওয়ায় অবাক হয়েছি। শিল্পী হিসেবে আমাকে যখন আয়োজকরা ‘সর্বতো মঙ্গল রাধে’ গানের কথা বললেন তখন আমি এটি চিনতে পেরেছি। কারণ, শৈশবে অনেকবার এ গান শুনেছি। জন্মাষ্টমীতে ছোটবেলায় এ ধরনের গানের সঙ্গে নেচেছিও। যেজন্য গানটি করতে রাজি হয়েছি। ইউটিউবে যখন আমি গেলাম তখন গানটির ২৫ টির মতো ভার্সন পেলাম। প্রতিটি ভার্সনের সব জায়গায় লেখা সংগৃহীত। এমনকি সরলপুরের ভার্সনেও কিছু লেখা ছিল না। কোনো জায়গায় যেহেতু গীতিকার-সুরকারের নাম ছিল না যেজন্য সবাই ভেবে নিয়েছে, এটি প্রচলিত গান। সেই হিসেবে আমাদের সংস্কৃতির লোকজ গান হিসেবে এটি তুলেছি। একজন শিল্পী হিসেবে এটাই দায়িত্ব। আয়োজকরা যখন গানটি প্রকাশ করলেন তখন এ নিয়ে আমাদের তো জানার কিছু থাকে না।

সরলপুর ব্যান্ডের তরফ থেকে কেউ কি এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেছিলেন?
না, ‘আইপিডিসি আমাদের গান’-এর ব্যানারে গানটি প্রকাশের পর হঠাৎ ফেসবুকে প্রতিবাদ দিয়েছে তারা। আমরা অফিসিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি। আমি একজন শিল্পী। তারাও শিল্পী। সহকর্মীর জায়গা থেকে তারা একটা ফোনও করতে পারতেন। মেসেজও দিতে পারতেন। গানটি একদম ধুম করে ইউটিউব থেকে নামিয়ে দেওয়া দুঃখজনক। আমাদের কাজের ক্ষেত্র তো একই। একটি বিষয় নিয়ে যদি ভুল বোঝাবুঝি হয় তখন আমরা কথা বলে নিতে পারি। নিজেরা কথা বলার পর এক পক্ষ যদি তাতে সায় না দেয় তখন একটি লিগ্যাল ব্যাপার আসতে পারে।

গানটি ‘সরলপুর’ অনেক আগে কপিরাইট নিয়েছে…
কপিরাইট হয় মৌলিক গানের। এটা তো তাদের গান নয়। এই গানের কপিরাইটের বিষয়টি আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়েছে। এ ধরনের গানের কপিরাইট থাকতে পারে- এটা খুব আশ্চর্যের! বাংলার মাটির গান বা বাউল গান কারও একক সম্পত্তি নয়। এগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়া উচিত বলে মনে করি। আশা করছি শিগগিরই একটা সুষ্ঠু ও সম্মানজনক সুরাহা হবে।

আরও পড়ুন:  বিয়ে করলেন নেহা

গানটি রেকর্ড করার সময় কি ভেবেছিলেন, এত জনপ্রিয় হবে?
যখন কোনো গান করি তখনই মনে মনে ভাবি এটি শ্রোতারা গ্রহণ করবেন। সেই জায়গা থেকে এ গানের জন্য কোনো কিছু আলাদা করে ভাবিনি। সবটুকু দিয়ে গাওয়ার চেষ্টা করেছি। সংগীতায়োজনের মাধুর্য, আমার ও চঞ্চল ভাইয়ের রসায়ন শ্রোতারা গ্রহণ করেছেন জেনে ভালো লেগেছে। গানটি আমাদের শুনেও ভালো লেগেছে। তবে শ্রোতারা এত সাদরে গ্রহণ করবেন এটা ভাবনায় ছিল না।

এবার অন্য প্রসঙ্গ আসা যাক। শুনেছি, রেডিওর জন্য অনুষ্ঠান করেছেন?
হাঁ, একসঙ্গে পাঁচটি অনুষ্ঠান করেছি। এগুলো হলো- মো. আল আমিন খানের প্রযোজনায় ‘সিনে রং’, দেওয়ান মোহাম্মদ আহসান হাবিব বাপ্পীর প্রযোজনায় ‘চোখের দেখা প্রাণের কথা’, নাজমুন শাকিবের প্রযোজনায় ‘মহানগর’, তনুজা মণ্ডলের প্রযোজনায় ‘উত্তরণ’ এবং উম্মে রুম্মানের প্রযোজনায় ‘ঘর-সংসার’। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সম্প্রতি অনুষ্ঠানগুলোর রেকর্ডিং হয়েছে। পাঁচটি অনুষ্ঠান পাঁচ রকমের। আশা করছি, শ্রোতাদের ভালো লাগবে।

সূত্র: সমকাল

আর/০৮:১৪/২৫ অক্টোবর

Back to top button