ঢালিউড

পরীমনির পাশে দাঁড়াল পরিচালক সমিতি

ঢাকা, ৩১ আগস্ট – জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনি মাদক মামলায় তিন দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন। গত ৫ আগস্ট তাকে বনানীর বাসা থেকে মাদকসহ আটক করে র‍্যাবের একটি দল। এর ২৫ দিন পর চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

সমিতির বিবৃতিতে অবিলম্বে পরীমনিকে জামিন দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তারা দাবি করেছে যে এই সময়ে তারা পরীর সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।

তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ঘটনার সত্যতা না জেনে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। চেষ্টা সত্ত্বেও পরীমনির বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আর পরীমনি বড় শিল্পী হওয়ায় সত্য-মিথ্যা খুঁজে বের করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।’

পরীমনির জামিন দাবি করে বলে, ‘আমরা সমিতিগতভাবে পরিষ্কার জানাতে চাই, পরীমনি আমাদের প্রিয় শিল্পী। তার গ্রেপ্তারে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। জামিন পেলে তিনি পালিয়ে যাবেন বলে একজন আইনজীবী পত্রিকায় যে মন্তব্য করেছেন তা সঠিক নয়। পরীমনি আমাদের দেশের জনপ্রিয় শিল্পী। তিনি যে মামলার আসামি তাতে তাকে জামিন দিয়ে এটি পরিচালনা হতে পারে। তিনি দোষী নাকি নির্দোষ তা আদালতে প্রমাণ হবে। কিন্তু জামিন পাওয়ার আইনি এখতিয়ার পরীর আছে। সুতরাং আমরা মনে করি, পরীমনিকে অবিলম্বে জামিন দিয়ে সত্য-মিথ্যা প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হোক। তার প্রতি সুবিচার হোক।’

এ ধরনের বিবৃতি দিতে এক মাস লাগলো কেনো? প্রশ্ন ছিল পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের কাছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এ সময় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি। ঘটনার সত্য-মিথ্যে যাচাই করার চেষ্টা করেছি। এরপর সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা চাই তার যে মামলা তাতে তাকে জামিন দিয়ে বিচার করা হোক।

তবে পরিচালক সমিতির কয়েকজন সাধারণ সদস্য এই বিষয়টাকে দায়সাড়া মনে করছেন। তাদের ভাষ্য, এতোদিন পরে সমিতির এ ধরনের বিবৃতি এক ধরনের দায়সাড়া বিবৃতি। চলচ্চিত্রে শিল্পীদের অভিভাবক হিসেবে সমিতির আরও আগে পরীমনির পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল।

দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানাভাবে পরীমনিকে আটকের প্রতিবাদ করে আসলেও চলচ্চিত্র সংগঠনগুলোর কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি।

এন এইচ, ৩১ আগস্ট

Back to top button