বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পর্যটনকেন্দ্র হবে কক্সবাজার
ঢাকা, ২৯ আগস্ট – বিদেশি পর্যটকদের কাছে টানতে কক্সবাজারে বিশেষ অঞ্চল বা স্পেশাল জোন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে শুধু বিদেশিদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে।
আজ রোববার (২৯ আগস্ট) কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।
রোববার (২৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কাজের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সৈকত (সি-বিচ), পর্যটনকেন্দ্র ও অত্যন্ত আধুনিক শহর। পুরো কক্সবাজারকে সেভাবে উন্নত সমৃদ্ধ করবো। বিদেশি পর্যটকদের জন্য ‘স্পেশাল জোন’ করা হবে সমুদ্রসৈকতে। যেখানে শুধু বিদেশিরা আসতে ও যেতে পারবেন। বিদেশিরা যেন তাদের মতো করে সবকিছু উপভোগ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
দেশের সব বিমানবন্দরের আধুনিকায়নে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ, নতুন রাডার স্থাপন, জেট ফুয়েল যেন পাইপ লাইনের মাধ্যমে চলে আসে, সেই পাইপলাইন নির্মাণ এবং কক্সবাজারে আরও সুপরিসর বিমান যেন নামতে পারে, আন্তর্জাতিক বিমান বা যাত্রী পরিবহন সব বিমান যেন নামতে পারে সেভাবে কক্সবাজার এয়ারপোর্টকে আমরা উন্নত করব।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ তৈরি করে দেয়া হবে। তাতে যেমন সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস থেকে এ অঞ্চল বাঁচবে, দৃষ্টিনন্দনও হবে। পর্যটকদের জন্য সুবিধা হবে।’
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কক্সবাজারের যে সি-বিচ, পৃথিবীর কোনো দেশে এত লম্বা বালুকাময় সি-বিচ নেই। ৮০ মাইল লম্বা সি-বিচ। কাজেই এটাকে আরও উন্নত করে আকর্ষণীয় করা ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার তার একটা স্বপ্ন ছিল।’
সূত্র : আরটিভি
এন এইচ, ২৯ আগস্ট