খালেদাকে বিদেশ যেতে হলে জেলে গিয়ে আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ আগস্ট – চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে গিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল লা ভিঞ্চিতে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম এবং এমআরডিআই’র যৌথ আয়োজনে সাংবাদিকদের এক কর্মশালায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গতবছর ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। মুক্তির মেয়াদ শেষে গতবছর সেপ্টেম্বরে আগের শর্তে তা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়৷ একই শর্তে মোট তিন দফায় তিনি মুক্ত রয়েছেন। শর্ত অনুযায়ী, ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন না, গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’থেকে তাকে চিকিৎসা নিতে হবে।
দলের চেয়ারপারসন শারীরিক অবস্থা ভালো না এমন দাবি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে আসছে বিএনপি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সে বিষয়ে কোনো সাড়া মেলেনি।
শনিবার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে তাকে জেলে যেতে হবে। এরপর নতুন করে তাকে আবেদন করতে হবে। কারণ যে আবেদনের প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তার আলোকে তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই আবেদন নিষ্পতি হয়ে গেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন আরেকজনকে হেয় করে, অপদস্ত করে, কাজেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন আছে। তবে এই আইনের অপব্যবহার বন্ধ হচ্ছে। গত তিন মাস লক্ষ্য করে দেখবেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার অনেকটাই কমে এসেছে। মামলা হলেই আসামি গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। জামিনও দেওয়া হচ্ছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানির জন্য ১৫ সেপ্টেম্বরের আগেই বেঞ্চ নির্ধারণের জন্য আবেদন করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলা হয়েছে।
সূত্র : ঢাকাটাইমস
এন এইচ, ২৮ আগস্ট