জাতীয়

জানাজা পড়া আর কফিনে লাশ থাকা এক কথা নয়: সেতুমন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ আগস্ট – দেশের অভ্যন্তরে ‘অস্থিতিশীল’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এখনও দেশে-বিদেশে ‘ষড়যন্ত্রের ছক আঁকা হচ্ছে’ বলে সেমিনারে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘যারা সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না, তারাই ষড়যন্ত্রের চোরাগলির মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছে।’

এসময় দেশের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে বাঁচিয়ে রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের পাশে থাকারও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘জনগণের সমর্থন না পেয়ে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বিএনপি, তারা দেশ- বিদেশের নানান স্থানে মিটিং, লবিস্ট নিয়োগ এবং অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। ’

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খুনি ঘাতকদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। ইতিহাসে কার কি ভূমিকা তা সবই জানা আছে। জিয়াউর রহমানের জানাজায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিত প্রমাণ করে কফিনে জিয়ার লাশ ছিল। বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যে কি প্রমাণিত হয়? মানুষ একজন প্রেসিডেন্টের জানাজা পড়েছে কিন্তু কফিনে যে লাশ ছিলো তা তো দেখাতে পারেননি।’

বঙ্গবন্ধু তৃতীয় বিশ্বের নেতা হিসেবে উত্থান, তা অনেকেরই ‘পছন্দ হয়নি’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জেলের জাল পড়িয়ে বাসন্তীকে দিয়ে নাটক সাজানো হয়েছিলো,যা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয় কারণ বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু সরকারের সুনাম নষ্ট করাই ছিলো তাদের মূল লক্ষ্য।’

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে আজাদ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নানা নতুন তথ্য উঠে আসছে যা সকলের অগোচরে ছিল। ফলে সময় হয়েছে একটি নতুন কমিশন গঠন করার। জাতির পিতা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যাও সেভাবেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কর্মকাণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামানাই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত সকলের সহযোগিতা চান এ.কে আজাদ।

সূত্র : সমকাল
এন এইচ, ২৮ আগস্ট

Back to top button