লোকারণ্য কক্সবাজার সৈকত
কক্সবাজার, ২৭ আগস্ট – বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার এখন লোকে লোকারণ্য। শুক্রবার ২৭ (আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজার শহরের শৈবাল পয়েন্ট, লাবনী পয়েন্ট, দরিয়া নগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাঠুয়ার টেক, শামলাপুর, লম্বরী, টেকনাফ হ্যাচারি পয়েন্টে শত শত মানুষকে সময় পাড় করতে দেখা গেছে। তবে এসব স্পটে ভ্রমণপ্রিয়দের স্বাস্থ্যবিধি তেমন একটা মেনে চলতে দেখা যায়নি।
সরেজমিন সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল চলছে। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকিং করছেন। তবে সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় লোক সমাগম বেড়েছে।
শহর থেকে টেকনাফ সৈকতে বেড়াতে এসেছেন দুই বন্ধু শামী জাবেদ ও ইমন। তারা বলেন, এখানকার সেন্ডি বিচ (সাদা বালুর সৈকত) দেখার মতো। হাতের নাগালেই বিচ, তারপরও সচরাচর আসা হয় না।
পরিবার নিয়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্য অবলোকন করতে এসেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি টেকনাফ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সাইফুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন পর বিচে এসে বেশ ভালোই লাগলো। নাফ মেরিন শিশু পার্কটি চালু হওয়ায় শিশুরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনোদনে অংশ নিতে পেরেছে।
পার্কটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কবির বলেন, করোনাকালীন লকডাউন ঘোষণা করায় পার্কটি বন্ধ ছিল। এখন চালু হয়েছে। শিশুরা এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন ইভেন্টে যুক্ত হয়ে আনন্দ-উল্লাস করছে।
টেকনাফ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া জানান, ছুটির দিন হওয়ায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে গাড়ি চলাচল বেড়েছে। তাই কোনো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য তদারকিও বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/২৭ আগস্ট ২০২১