সিলেট

সিলেটে ভাঙা পড়ছে অনেক বহুতল ভবন!

সিলেট, ২৭ আগস্ট – সিলেটজুড়ে উচ্চ চাপবিশিষ্ট গ্যাস পাইপ লাইনের উপর ও লাইনঘেষে দাঁড়িয়ে আছে নানা অবৈধ স্থাপনা। গড়ে তোলা হয়েছে বহুত ভবনও। তবে এবার আর ছাড় দেবে না জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

উচ্চ চাপবিশিষ্ট গ্যাস পাইপ লাইনের ১০ ফুটের ভেতরে গড়ে তোলা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং দখলকৃত ভূমি উদ্ধার করতে চূড়ান্ত অভিযান শুরু করেছে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। সিলেটে উচ্ছেদ করা হবে এমন প্রায় ১ হাজার স্থাপনা।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় সিলেট নগরীর বালুচর এলাকা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। প্রথমবার চলতি বছরের ১৬ মার্চ অভিযান শুরু হয় সিলেট শাহপরাণ থানাধীন ইসলামপুরে মোহাম্মদপুর নূরপুর আবাসিক এলাকা থেকে।

উত্তর বালুচরের কবির খাঁনের ৩য় তলা বিল্ডিং ভাঙার মধ্য দিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বৃহস্পতিবার সারা দিনে বালুচর, মেজরটিলা-ইসলামপুর পর্যন্ত ৮/১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও দখলমুক্ত করা হয় কয়েক শতক ভূমি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেট অঞ্চলে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উচ্চ চাপসম্পন্ন সঞ্চালন লাইনের উপরে ও পাশে প্রায় ১ হাজার অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় আড়ই শ স্থাপনা চিহ্নিত করা গেছে। এসব স্থাপনা উচ্ছেদে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে অভিযান চালাচ্ছে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। গত ১৬ মার্চ প্রথম দফায় শাহপরাণ থানাধীন ইসলামপুরে মোহাম্মদপুর নূরপুর আবাসিক এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে সিলেট নগরীতে দ্বিতীয় দফায় চালানো হচ্ছে উচ্ছেদ অভিযান। দিনভর অভিযানে ৮-১০টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙেছে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে দুই-তিন তলা ভবন ও টিনশেড আধাপাকা ঘরও রয়েছে। এছাড়াও পাইপ লাইনের পাশের দখলকৃত কয়েক শত ভূমিও উদ্ধার করা হয়েছে। গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ১২০টি বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে স্থাপিত বসবতবড়ি উচ্ছেদ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসচিব ও জালালাবাদ গ্যাসের উপ-মহা ব্যাবস্থাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী গ্যাস সঞ্চালনের প্রধান পাইপ লাইনের উভয় পাশে ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা থাকতে পারবে না। গত মার্চ মাসের আগে ১০ ফুটের মধ্যে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবন ও স্থাপনার মালিক এবং অবৈধভাবে ভূমি দখলকারীদের বার বার নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিছু মানুষ স্বেচ্ছায় স্থাপনা সরিয়ে নেন এবং দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ নির্দেশ অমান্য করেছেন। তাই আবারও উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৮-১০ টি ও গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ১২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রায় এক হাজার এমন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

সূত্র : সিলেটভিউ
এন এইচ, ২৭ আগস্ট

Back to top button