দক্ষিণ এশিয়া

আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে সংগীত

কাবুল, ২৬ আগস্ট – আবারও আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে সংগীত। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, তাদের শাসনে সংগীতের অনুমোদন থাকবে না। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইসলামে সংগীত নিষিদ্ধ। তবে আশা করছি, চাপ দেওয়ার বদলে মানুষ নিজেরাই যাতে সংগীত এড়িয়ে চলে সে সম্পর্কে আমরা সচেতন করতে পারব।

আফগানিস্তানে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত তালেবান শাসনে সংগীত, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। আইন অমাণ্যকারীদের ভয়াবহ শাস্তির মুখে পড়তে হত। খবর বিবিসির।

কিন্তু ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে তালেবান উৎখাত হলে দেশটিতে সংগীতচর্চার ব্যাপক প্রসার ঘটে। সেখানে প্রচুর কনসার্ট ও উৎসব হতো। এমনকি আফগানিস্তানে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মিউজিক প্রতিষ্ঠা হয়, সেখানে নানা অনুষ্ঠানও উদ্‌যাপন করা হয়। পাশাপাশি দেশটির সব নারী অর্কেস্ট্রা দেশে ও বিদেশে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

জাবিউল্লাহ নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ‘ভিত্তিহীন’। তিনি বলেন, নারীদের সব সময় ঘরেই থাকতে হবে বা মুখ ঢেকে রাখতে হবে, এমন নয়। তিনি বলেন, পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা বাইরে বের হতে পারবেন না, এটাও ঠিক নয়। যেসব নারী তিন দিন বা এর বেশি সময়ের জন্য কোথাও যেতে চান, সেখানে পুরুষ অভিভাবক লাগবে। নারীরা আগের মতোই তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, নারীদের যদি স্কুল, অফিস, বিশ্ববিদ্যালয় বা হাসপাতালে যেতে হয় তাহলে তাদের সঙ্গে পুরুষ আত্মীয়ের (মাহরাম) থাকার দরকার নাই।

মঙ্গলবার জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ নারীদের সতর্ক করে বলেছিলেন, উপযুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার আগ পর্যন্ত নারীদের বাড়িতে থাকতে হবে। কারণ নারীদের হয়রানি বা আহত না করতে অনেক তালেবান যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।

নতুন যোদ্ধা ও যাদের প্রশিক্ষণ হয়নি তারা নারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার করতে পারে বলে আমরা উদ্বিগ্ন বলেও জানান তিনি।

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/২৬ আগস্ট ২০২১

Back to top button