পশ্চিমবঙ্গ

দিশেহারা বিজেপি এখন বঙ্গভঙ্গের দুরভিসন্ধি করছে: মমতা

কলকাতা, ২৬ আগস্ট – পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করতে না পেরে দিশেহারা বিজেপি এখন বঙ্গভঙ্গের দুরভিসন্ধি করছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা দখল করতে না পেরে দিশেহারা বিজেপি এখন বঙ্গভঙ্গের দুরভিসন্ধি করছে। বিজেপি নেতাদের মতে দেশ চলবে না। বিজেপির মন্ত্রীদের কথায় বাংলা ভাগ হবে না। সেই রাম নেই, সেই অযোধ্যাও নেই। রাম ও অযোধ্যাকে জানতে হলে, ভালো করে রামায়ণটা পড়তে হবে।

তিনি বলেন, যারা দেশ বিক্রি করতে চায়, তারা ভাবছে দেশটার সঙ্গে বাংলাটাকেও বিক্রি করে দিই। অত সহজ নয়! খেলা হবে। অত সহজে আমরা খেলায় হারতে চাই না। এটা মাথায় রাখতে হবে।

উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে পৃথক একটি রাজ্যের দাবি তোলেন বিজেপি নেতা জন বার্লা। একই সুরে কথা বলেছেন দলটির ছোট-বড় নেতা থেকে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। এমনকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও ‘বঙ্গভঙ্গ’ বিতর্কে ঘি ঢেলেছেন।

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সরকার গঠনের স্বপ্নভঙ্গ হতেই দলটির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গের মানুষের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার দাবি তোলেন। তখন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের তরফে বলা হয়, কেউ এ ধরনের কথা বলে থাকলে তা তাদের ব্যক্তিগত মত, দলের নয়।

তারপর কয়েক দিন আগে সেই বার্লাকে পাশে বসিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের উন্নয়ন হয়নি। আলাদা রাজ্যের দাবি অবৈধ নয়। জন বার্লা জনপ্রতিনিধি। যারা তাকে জিতিয়েছেন, তাদের কথা শোনা তার দায়িত্ব।’

বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘কলকাতা ফ্লাইওভারের বরাদ্দের চেয়ে কম খরচ হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নে। উত্তরবঙ্গে যে উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। জনগণের আবেগের বিপক্ষে থাকব না। গণতন্ত্রে জনতাই শেষ কথা। জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনতার আবেগকে সম্মান করা উচিত।’

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ প্রসঙ্গে বলেন, মূলত নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিজেপি সোচ্চার হয়েছে। চূড়ান্ত রাজনৈতিক হতাশা থেকে রাজ্যকে খণ্ড খণ্ড করার চক্রান্ত করছে বিজেপি।

সূত্র : যুগান্তর
এন এইচ, ২৬ আগস্ট

Back to top button