বরিশাল

ইউএনও-পুলিশের মামলায় জামিন পেলেন আ’ লীগের ৯ নেতাকর্মী

বরিশাল, ২৫ আগস্ট – বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলায় মোট ৯ আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ এ আদেশ দেন। ওই দুটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মোট ২১ আসামির জামিন আবেদন করা হয়েছিল।

এর মধ্যে ইউএনওর দায়ের করা মামলায় ৯ জন এবং কোতোয়ালী মডেল থানার উপ পরিদর্শক মো. শাহজালালের দায়ের করা মামলার ৩ আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। এদের মধ্যে মো. ইফতিয়ার উদ্দিন, আলো গাজী ও কালাম মনু উভয় মামলার আসামি।

জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোমিনউদ্দিন কালু। তিনি পুলিশের দায়ের করা মামলার ৪৬ নম্বর আসামি। এ মামলায় জামিনপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হচ্ছেন মো. ইফতিয়ার উদ্দিন, কালাম মনু, মো. কবির উদ্দিন তালুকদার, হুমায়ন কবীর হাওলাদার, মো. ইলিয়াস, জসিম উদ্দিন, আলো গাজী নাসির উদ্দিন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, কারাবন্দী ও পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন ১২ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন বিচারক। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি কাউন্সিলর শেখ সাঈদ আহমেদ মান্না, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, রূপাতলী বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আহমেদ শাহরিয়ার বাবু এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে একচোখের দৃষ্টি হারানো ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনির হোসেন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কর্মী তানভীর ও নগরীর উপকন্ঠ কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রায়হান। এ তিনজন পুলিশ হেফাজতে ঢাকায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মো. আর্শিব উদ্দিন শাওন জানান, শতাধিক আইনজীবী জামিন আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন। এর বিপরীতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পুলিশের পক্ষে জামিনের বিরোধীতা করা হয়নি।

উল্লেখ্য, বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে লাগানো বিলবোর্ড-ব্যনার গত বুধবার রাত ১০টায় অপসারণ করতে যায় সিটি করপোরেশরেন কর্মী পরিচয়ে একদল ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মী। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বাধা দিলে তার সরকারি বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের। এ ঘটনায় ইউএনও এবং পুলিশের দায়ের করা মামলায় জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু এবং সিটি কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্নাসহ ২১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে নগরীতে টানটান উত্তেজরা দেখা দেয়। পরে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের হস্তক্ষেপে গত সোমবার রাতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদলের বাসভবনে দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সূত্র : সমকাল
এম এউ, ২৫ আগস্ট

Back to top button