বাংলাদেশে কম সাফল্যই নিউজিল্যান্ডের অনুপ্রেরণা
ঢাকা, ২৫ আগস্ট – একেবারে নতুন চেহারার দল নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে নিউ জিল্যান্ড। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ভারত সফরের দলে থাকা কেউ নেই। ১৬ জনের মধ্যে শুধু একজনই এর আগে খেলেছেন বাংলাদেশের মাটিতে, পেস বোলার হামিশ বেনেট। ওই সফরের স্মৃতি সুখকর নয়, ৪-০ তে ওয়ানডে সিরিজ হেরে যায় কিউইরা। ২০১০ সালের ওই সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল তার। ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার এবারের বাংলাদেশ সফরে সবচেয়ে সিনিয়র। যতটা পারা যায়, দলকে উজ্জীবিত করে যাচ্ছেন। তার মতে, বাংলাদেশে কম সাফল্যই নিউ জিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।
বাংলাদেশের মাটিতে নিউ জিল্যান্ড শেষ ১০টি দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র একটি। আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে ভিন্ন স্বাদ পেতে চান বেনেট। দলের তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে ইতিবাচক তিনি। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশে পৌঁছে হোটেলে তিন দিনের রুম কোয়ারেন্টাইনে আছেন খেলোয়াড়র। বুধবার (২৫ আগস্ট) ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে দল নিয়ে আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানান বেনেট, ‘এটা ভিন্ন কোচিং স্টাফদের নিয়ে আলাদা একটি দল। আমরা এখানে এসেছি একটি সংগঠিত দল হয়ে এবং দেশের জন্য খেলব। আমি আগেও বাংলাদেশে এসেছি, হেরেছিলাম ৪-০ তে। এখানে আমাদের খুব বেশি সাফল্য নেই, তাই এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার ব্যাপার। আমার ভালো লাগবে যখন নিউ জিল্যান্ডে ফিরে যাব এবং বলতে পারব আমরা বাংলাদেশে একটি সিরিজ জিতেছি। আপনারা দেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার কী হয়েছিল এবং অন্য দলগুলোর দিকে তাকালেও বুঝতে পারবেন, যারা বাংলাদেশে ভুগেছে।’
অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ এ হেরেছে। তাদের পরই বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে যাচ্ছে নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশের খেলার ধরন বুঝতে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজ সহায়তা করবে বিশ্বাস বেনেটের, ‘এটা ছিল মজার (অস্ট্রেলিয়ানদের বিপক্ষে)। আমি মনে করি একই রকম হবে। বাংলাদেশ কীভাবে আমাদের খেলবে সেটা অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দেখে বুঝতে পেরছি, এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এই ধরনের উইকেটে আমাদের গেম প্ল্যান মানানসই হবে কি না তা খুঁজে বের করার জন্য ট্রেনিং করতে চার পাঁচ দিন হাতে পাব।’
দ্য হান্ড্রেড খেলে সরাসরি লন্ডন থেকে নির্ধারিত সময়ের চার দিন আগে ঢাকায় পৌঁছান তরুণ ক্রিকেটার ফিন অ্যালেন ও অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। বাকিরা বাংলাদেশে পৌঁছানোর দিনেই অ্যালেন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তিনি এখন আইসোলেশনে আছেন, তাকে পর্যবেক্ষণ করছেন দলের চিকিৎসকরা। অ্যালেনের অসুস্থতা দলের জন্য বড় ধাক্কা স্বীকার করলেন বেনেট, ‘আমরা তাকে পেতে মুখিয়ে ছিলাম। সে অনেক দিন ধরে বাইরে, আইপিএলে খেলেছে, ব্ল্যাস্ট ও দ্য হান্ড্রেডে। তার দক্ষতা দেখতে সবাই অধীর হয়ে ছিল। তাই এটা সত্যিই ধাক্কা। স্বস্তির খবর, সে আইসোলেশনে সুস্থবোধ করছে। আমরা যতখানি পারব সমর্থন দিব তাকে। সুস্থ হয়ে উঠলে আশা করি দুই একটি ম্যাচ খেলতে পারবে।’
ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর থেকে শুরু করে হোটেলে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সব আয়োজনে সন্তুষ্ট এই পেসার, ‘অনেক লম্বা ফ্লাইট ছিল। কিন্তু প্লেন থেকে নামার পর, আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের খুব ভালো দেখভাল করা হয়েছে। যতখানি সম্ভব আমাদের নিরাপদে রাখতে তাদের ক্রিকেট বোর্ড ও সরকার যা করেছে, তার জন্য শুধু ধন্যবাদ দিতে চাই না। যে আয়োজন বিসিবি আমাদের জন্য করেছে, তা অসাধারণ। ঝুঁকি কমাতে তারা অবিশ্বাস্য কাজ করেছে।’
সূত্র : রাইজিংবিডি
এন এইচ, ২৫ আগস্ট