ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন শিক্ষা না পায় সরকার সেই ব্যবস্থায় করছে: মির্জা ফখরুল
ঢাকা, ২৩ আগস্ট – দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন শিক্ষা না পায় সেই ব্যবস্থায় করছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের জন্য ওষুধ সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে’ এ মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, হঠাৎ করেই কঠোর লকডাউন-টকডাউন সব উধাও হয়ে গেল। এখন খুললাম-খুল্লা যে যেমন খুশি চলো। হাজার হাজার মানুষ একসাথে চলছে, ফিরছে সব কিছুই করছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলছে না। অর্থাৎ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন শিক্ষা না পায় সেই ব্যবস্থা তারা (সরকার) করছে।
অনলাইনে কারা পড়ে এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা বিত্তশালী মানুষ তারাই অনলাইনে পড়াশুনা করতে পারে। আর কারো পক্ষে কম্পিউটার, মোবাইল ইন্টারনেট জোগাড় করে পড়াশোনা করা সম্ভব নয়। এছাড়াও গ্রামের স্কুলগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ। শিশুরা এখন বাদাম বিক্রি করছে তাদের বাবা-মাকে সাহায্য করার জন্য।
করোনার টিকা নিয়ে তেলেসমাতি কাণ্ড চলছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যেভাবে মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এতে পুরো জাতি বিভ্রান্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৮ বছর বয়স থেকে টিকা দেয়া দরকার। সে অনুযায়ী দেশের জনগণের জন্য ২৬ কোটি টিকার ডোজ প্রয়োজন। অবাক করার বিষয়, বিপুল টিকার চাহিদা থাকার সত্ত্বেও সরকার আনছে এক-দুই লাখ। তার আবার দান-অনুদান থেকে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারবর্হিভূত মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমি মনে করি উনার (ওবায়দুল কাদের) বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বিবর্জিত।
একইভাবে ওরা শহীদ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেই চলেছে। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকেরাই জড়িত, জিয়াউর রহমানের প্রশ্নই আসে না। এভাবে জাতিকে মিথ্যা বলে জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তার ভয়ে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতেই মিথ্যাচার করছে ক্ষমতাসীনরা।
এসময় জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ২৩ আগস্ট