শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বুলিং’ বন্ধে হাইকোর্টের রুল
ঢাকা, ২৩ আগস্ট – মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং বা পীড়ন বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বুলিং রোধে কেন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাজধানীর মতিঝিলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার দশম শ্রেণির ছাত্র ১৬ বছর বয়সি কিশোর আজওয়াদ আহনাফ করিম বডি শেমিংয়ের শিকার হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ওই ঘটনা তদন্ত করে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ৮ জুলাই ‘মোটা বলে সহপাঠী ও শিক্ষকের লাঞ্ছনার শিকার মৃত কিশোরের পরিবার যা বলছে’ শিরোনামে বিবিসি বাংলায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ঢাকায় অ্যানোরেক্সিয়া এবং বুলিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর পর তার পরিবার অভিযোগ করেছে, স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের বুলিংয়ের শিকার হওয়ার ফলস্বরূপ এই ঘটনা ঘটেছে।
কিশোরের বাবা মো. ফজলুল করিম বলেছেন, তার ছেলের ওজন স্বাভাবিকের চাইতে বেশি হওয়ার কারণে, স্কুলে তাকে প্রায় নিয়মিতই বুলিং ও উপহাসের শিকার হতে হতো। কিন্তু স্কুলে কখনো এ নিয়ে অভিযোগ জানাননি তারা। এখনো বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ জানাতে চান না তারা। তবে পরিবার চায় স্কুলে বুলিং বন্ধ করার জন্য যেন সরকার ব্যবস্থা নেয়। পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতি একটি লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসের জবাব না পেয়ে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
সূত্র: প্রতিদিনের সংবাদ
এম ইউ/২৩ আগস্ট ২০২১