তৃতীয় দফায় আরও সোয়া ২ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
ঢাকা, ২৩ আগস্ট – শুল্ক কমানোর পর তৃতীয় দফায় আরও ২ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৭৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার (২২ আগস্ট) এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির জন্য বরাদ্দ দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল ২ লাখ ৬ হাজার টন এবং আতপ চাল ১৬ হাজার টন। চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে।
গত ১৮ আগস্ট প্রথম দফায় ৭১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় শনিবার (২১ আগস্ট) ৩ লাখ ৯১ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য ৯২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়।
চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দ আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে এলসি (ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। এই সুবিধা আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
কমানো শুল্ক হারে চাল আমদানির জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারবে।
চাল আমদানি অনুমতি পেল যেসব প্রতিষ্ঠান।
সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ২৩ আগস্ট