বরিশাল

শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার গায়েব

বরিশাল, ২১ আগস্ট – বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে প্রায় ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং প্রায় ১০০ হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা গায়েব হয়ে গেছে। এ ঘটনা তদন্তে একজন চিকিৎসককে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত সাত দিন ধরে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজাখুঁজি করেও এসব সিলিন্ডার এবং ক্যানোলার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি এতদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গোপন রাখলেও শনিবার (২১ আগস্ট) তদন্ত কমিটি সূত্রে তা প্রকাশ পায়। তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন ডা. মাহামুদ হাসান। অপর সদস্যরা হলেন সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার ও ওয়ার্ড মাস্টার দুই জন এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদক। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

হাসপাতালের স্টোর সূত্র জানায়, করোনা ওয়ার্ডের মাস্টারদের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সরবরাহ করা হয়। ইতোমধ্যে কোন ওয়ার্ডে কতটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা নেওয়া হয়েছে তার তালিকা রয়েছে।

তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজ নিতে গেয়ে দেখা যায়, ১০০টি সিলিন্ডার ও ১০০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা নেই। এরপর যেখানে স্বাভাবিক রোগীদের (নন-কোভিড ওয়ার্ড) চিকিৎসাসেবা চলছে সেখানেও খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের ধারণা এগুলো চুরি হয়েছে। বিষয়টি পরিচালককে জানালে তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।

তদন্ত কমিটির সদস্য সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার বলেন, স্টোর থেকে সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা চুরি হয়েছে। বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালককে জানানো হলে সাত দিন আগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর প্রতি ওয়ার্ডে সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার সন্ধান চালানো হচ্ছে। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি। এ জন্য একজনকে শোকজ করা হয়েছে। রবিবারও বিভিন্ন ওয়ার্ডে সন্ধান চালানো হবে। এরপর প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেন সংকটের কারণে বিভিন্ন সময় নিজস্ব অর্থায়নে এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দেওয়া হয়। সেখানে ছোটবড় মিলিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল ৬১৬টি। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ছিল ১১৩টি।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
এম ইউ/২১ আগস্ট ২০২১

Back to top button