আফগান ইস্যুতে আমেরিকাকে তীব্র আক্রমণ চীনের
বেইজিং, ১৮ আগস্ট – আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর পুরো পরিস্থিতির দায় আমেরিকার ঘাড়ে চাপাল চীন। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানকে ‘লণ্ডভণ্ড’ করে দেশে ফিরে গেছে আমেরিকার সৈন্যরা। ন্যাটো ও আমেরিকার সেনা সরানোর সিদ্ধান্তের ফলে তালেবান রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পরিষ্কার রাস্তা পেয়েছে।
সোমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, আফগান সৈন্যদের এতদিন ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া ও অস্ত্রভাণ্ডারে সুসজ্জিত করার পরেও তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করার মানসিকতা গড়ে তোলা যায়নি। সারাজীবন আফগানিস্তানে আমেরিকার সেনা থাকতে পারে না। এবার থেকে লড়াই আফগান সেনাদেরকেই করতে হবে।
এই কথার সূ্ত্র ধরেই আমেরিকাকে এক হাত নিয়েছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং মঙ্গলবার বলেছেন, “আমেরিকা আফগানিস্তানকে লণ্ডভণ্ড অবস্থায় ফেলে চলে গেছে। এখন সে দেশে চারিদিকে অশান্তি, বিভেদ ও বিচ্ছিন্ন পরিবারের দেখা মিলছে। আমেরিকার ভূমিকাই এমন। সব সময় ধ্বংসের পথে নিয়ে যায় আমেরিকা, গড়তে পারে না।”
চীনের সঙ্গে আফগানিস্তানের মোট ৭৬ কিলোমিটারজুড়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। সেই কারণেই চীনের চিন্তা, দেশের উইঘুর মুসলিমদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের স্থান হতে পারে ওই সীমান্ত বরাবর ভূমিতে। যদিও জুলাইয়ে এক বৈঠকে চীনকে সে ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে তালেবান। জানিয়েছে, চীনের সন্ত্রাসবাদের কার্যকলাপ বিস্তার করতে কোনও গোষ্ঠী আফগান মাটি ব্যবহার করতে পারবে না। সেই বৈঠকের পর পাল্টা আফগানিস্তানের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে,যদি পারস্পরিক সম্পর্ক ঠিক থাকে,তাহলে বাকি দিকগুলো বজায় রেখে চলবে বেইজিং। যেমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগে ছিল, নতুন তালেবান সরকারের ক্ষেত্রেও সেটি বজায় রাখা হবে। নতুন করে আফগানিস্তান গড়তে আর্থিক সাহায্য করবে চীন।
সূত্র : বিডি প্রতিনিধি
এন এইচ, ১৮ আগস্ট