আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্মে সহায়তা করে আইপিএল: মোস্তাফিজ
ঢাকা, ১৮ আগস্ট – দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ অক্টোবর শুরু হবে বাংলাদেশের এই অভিযাত্রা। জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারানোর পর আসন্ন নিউ জিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে প্রস্তুতিটা নিঃসন্দেহে ভালো হতে যাচ্ছে লাল সবুজের ক্রিকেটারদের। তবে মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান নিজেদের তৈরি করতে পাচ্ছেন আরো বাড়তি সুযোগ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ দিয়ে প্রতিযোগিতার ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুজনই খেলবেন আইপিএলের অবশিষ্ট অংশ। মোস্তাফিজ বিশ্বাস করেন, বাকি আইপিএলে ভালো পারফরম্যান্স করলে তার আত্মবিশ্বাস আরো বাড়বে।
কদিন আগে শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দুর্ধর্ষ বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। তাকে খেলতেই পারেননি সফরকারী ক্রিকেটাররা। বৈচিত্র আর গতির মিশেলে অজি ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নেন। একই ভাবে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ টি-টোয়েন্টিতেও বোলিং করতে চান বাঁহাতি পেসার। তারপর অনাপত্তিপত্র পেলে আইপিএল খেলতে চলে যাবেন আমিরাতে। সাকিব খেলছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে, আর মোস্তাফিজ রাজস্থান রয়্যালসে।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) এক সাক্ষাৎকারে বর্তমান ফর্ম ও মানসিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন মোস্তাফিজ। তার চাওয়া, এই ফর্ম ধরে রাখবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। বাঁহাতি কাটার মাস্টার বলেছেন, ‘স্বাভাবিকভাবে (আমি আত্মবিশ্বাসী) নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ, আইপিএল ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য। কারণ এখন আমি দারুণ ছন্দে আছি এবং এটা ধরে রাখতে আশাবাদী। আমি যেটা মনে করি, আইপিএলে খেলা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পারফর্ম করতে সহায়তা করে কারণ সেখানে সেরাদের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে। আমার মতে, ওখানে (আইপিএল) ভালো করতে পারলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করা অনেক সহজ হয়ে যায়।’
আইপিএল থেকে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চান মোস্তাফিজ, ‘এই টুর্নামেন্টে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়রা প্রতিযোগিতা করে। যদি সফল হতে পারেন, তাহলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। আমি নিশ্চিত আমার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। কারণ আমি যদি আইপিএলে ভালো করি তাহলে সেই আত্মবিশ্বাস বিশ্বকাপেও সঙ্গে নিতে পারব।’
ক্যারিয়ারের শুরুতে যে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন, এই আইপিএলের আগে সেই তুলনায় তা ছিল নিম্নমুখী। তবে রাজস্থানের সঙ্গে যত ম্যাচ খেলেছেন, ততই নিজেকে ফিরে পেয়েছেন মোস্তাফিজ। কোভিডে স্থগিত হওয়ার আগে ৮ উইকেট নেন তিনি। তার আইপিএল পারফরম্যান্স মনের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়েছে। এজন্য মোস্তাফিজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলের কোচিং স্টাফদের প্রতি, বিশেষভাবে তিনি উল্লেখ করেছেন ব্যাটিং কোচ সিড লাহিরির নাম।
মোস্তাফিজ বললেন, ‘সিড লাহিরি নামের একজন কোচ ছিলেন, রাজস্থানের ক্যাম্পে তিনি আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। শুধু তিনি নয়, প্রত্যেকে ভালো ভালো কথা বলেছেন। অনেক ভালো লেগেছিল। আসলে আমি সবসময় শিখতে আগ্রহী।’
২৫ বছর বয়সী এই পেসার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের সাফল্যের অন্যতম কারিগর ছিলেন। কাটার আর স্লোয়ার ডেলিভারিতে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন সতীর্থদের। এই সিরিজে নতুন কিছুর চেষ্টা করেছিলেন মোস্তাফিজ। বিশেষ করে ব্যাক অব হ্যান্ড স্লোয়ার ডেলিভারিতে মনোনিবেশ ছিল তার। ৫ ম্যাচে ৬০ রান খরচায় ৭ উইকেট নেওয়া এই পেসার বললেন, ‘এটা এমন উইকেট ছিল না যে সেখানে খুব বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা যায়। এ কারণে খুব বেশি চেষ্টা আমি করিনি। শুধু বেসিকগুলো অনুসরণ করেছি। আমার ব্যাক হ্যান্ড স্লোয়ার (ডেলিভারি) নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি ভালোভাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি কিন্তু আরো তীক্ষ্ণ হতে হবে।’
সূত্র : রাইজিংবিডি
এন এইচ, ১৮ আগস্ট