আফগানিস্তান ইস্যুতে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ আগস্ট – বাংলাদেশ সবসময়েই জনতার পক্ষে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে সেই দেশের জনতা।
তিনি বলেছেন, ওই দেশের জনতা ওটা নির্ধারণ করলে এবং তারা যদি আমাদের থেকে সাহায্য সহযোগিতা চায়, নিশ্চয়ই আমরা সহায়তা করবো।
আফগানিস্তানে তালেবানদের ক্ষমতা দখল প্রসঙ্গে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিবিসি বাংলাকে এ কথা বলেন।
তালেবান যদি সরকার গঠন করে, তাহলে বাংলাদেশ সহায়তা করবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, “ওই দেশের মানুষের জনগণের ইচ্ছায় যারা আসবে, গণতান্ত্রিক উপায়ে, আমরা তাদের সবসময়েই গ্রহণ করি।”
এদিকে, সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আফগানিস্তানের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি বাংলাদেশ সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশ মনে করে, পরিবর্তনশীল আফগান পরিস্থিতি আঞ্চলিক বা তার বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে।
এতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধিতে একত্রে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে নীতি রয়েছে, সেটি বাস্তবায়নে আফগানিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ মনে করে, দেশটির জনগণের পছন্দ অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক ও বহুমুখী দেশ হলে তা আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে। বাংলাদেশ নিজেকে আফগানিস্তানের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সহযোগী ও বন্ধু বলে মনে করে।শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, পয়োনিষ্কাশন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান বিনিময় করার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থাগুলো এসব কাজ গত বিশ বছর ধরে দেশটিতে করে আসছে।
বাংলাদেশ মনে করে, আফগানিস্তানের পুনর্গঠন এবং কোন দিকে তারা যাবে, তা পুরোপুরি নির্ভর করে দেশের জনগণের ওপর। আফগানিস্তানকে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ আর দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের জন্য অবদান সৃষ্টিকারী দেশ হিসাবে বাংলাদেশ দেখতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে মিলে আফগান জনগণের সাথে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
সূত্র : দেশ রূপান্তর
এন এইচ, ১৬ আগস্ট